শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

ঔষধি গ্রামের ৪৫০০ চাষি এখন বেকার

নাটোর প্রতিনিধি

ঔষধি গ্রামের ৪৫০০ চাষি এখন বেকার

নাটোর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া গ্রামে একটি খেতে শুকিয়ে যাচ্ছে অ্যালোভেরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কনোরাভাইরাসের প্রভাবে নাটোর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়ার ঔষধি গ্রামের সাড়ে ৪ হাজার চাষি এখন বেকার। তারা জানান, দেশে সাধারণ ছুটির শুরু থেকে গত ২৩ দিনে তাদের লোকসান হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। পচনশীল পণ্য হওয়ায় প্রতিদিন ১৫ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

নাটোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঔষধি গ্রামে ১ হাজার ৫০ বিঘা জমিতে ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা), শিমুল মূল, অর্জুন, বাসকপাতা, কালোমেঘ, লজ্জাবতী, অশ্বগন্ধাসহ ২২ প্রজাতির ভেষজ গাছের চাষ হয়। প্রতিদিন সকালে চাষিরা জমি থেকে এ সব গাছ সংগ্রহ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান। এ গ্রামও রয়েছে ভেষজ হাট-বাজার। করোনার প্রভাবে  বাজার বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে আসছে না পাইকার এবং ওষুধ কো¤পানিগুলোর প্রতিনিধি। জমিতেই ঘৃতকুমারী, শিমুল মূলসহ ভেষজ গাছগাছড়ার পাতা ও মূল পচে নষ্ট হচ্ছে। গতকাল ঔষধি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর ও আমীরগঞ্জের ভেষজবাজারের সব দোকান বন্ধ। পাইকারি আড়তের সামনে স্তূপ করে রাখা ঘৃতকুমারীতে পচন ধরেছে। উৎপাদনের ভরা এ মৌসুমে জমিতে চাষি ও শ্রমিকদের কর্মচাঞ্চল্য নেই। শুয়ে বসে দিন কাটছে তাদের। লক্ষ্মীপুর বাজারের ভেষজ ব্যবসায়ী মতিন ব্যাপারী জানান, ঔষধি গ্রামের সাড়ে ৪ হাজার মানুষ ভেষজ চাষের উপর নির্ভরশীল। চলমান করোনার পরিস্থিতির জন্য হাটবাজার এবং পরিবহন বন্ধ। তাই সবাই বেকার হয়ে গেছে। এভাবে আর কয়েকদিন চললে আমাদের পথে বসতে হবে। ঔষধি গ্রামের চাষিদের বাঁচাতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানান তিনি। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদুল ইসলাম জানান, ঔষধি গ্রামের কৃষকদের চলমান পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় আনা নিয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে। বর্তমানে ক্ষতির পরিমাণ কীভাবে কমানো যায়, সে ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর