শিরোনাম
শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

আইসিইউ নেই কুমিল্লার সরকারি হাসপাতালে

কুমিল্লা প্রতিনিধি

একটি সিটি করপোরেশন ও ১৭ উপজেলার নিয়ে গঠিত জেলা। এ জেলায় ৬০ লাখ মানুষের বাস। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছরেও কুমিল্লার কোনো সরকারি হাসপাতালে চালু হয়নি ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে আইসিইউ ইউনিট জরুরি বলে দাবি করেন জেলার চিকিৎসক ও সচেতনরা। জানা যায়, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে আইসিইউর ১০টি বেড আছে। ১০ লাখ টাকা দামের একটি ব্লাড গ্যাস এনালাইজার মেশিনের অভাবে তা চালু করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। হাসপাতালের সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালে কুমেক হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এর শয্যা সংখ্যা ৫০০। এখানে কুমিল্লা ছাড়াও  ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী অঞ্চলের স্বল্প আয়ের রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন। এছাড়া রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ঘটনার সংকটাপন্ন রোগী। এদিকে কুমিল্লার চারটি বেসরকারি হাসপাতালে স্বল্প পরিসরে আইসিইউ চালু থাকলেও তা ব্যয় বহুল। সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, হাসপাতাল প্রশাসন আগের চেয়ে সেবা প্রদানে আন্তরিক। তবে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে।

 এটা এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল। এখান থেকে রোগী রেফার করা দুঃখজনক। পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার জন্য এখানে আইসিইউ চালু করা দরকার। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, কিছু যন্ত্রপাতি সংকটে আইসিইউ চালু করতে পারছি না। যন্ত্রপাতির চাহিদা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত পেয়ে যাব। তিনি আরও জানান, করোনা পরীক্ষায় এ জেলায় এক সপ্তাহের মধ্যে আসবে   পিসিআর মেশিন।

সর্বশেষ খবর