শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ

সরকারি সহায়তা পাননি অনেকে, ভোগান্তিতে নিম্ন মধ্যবিত্তরাও

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

করোনার প্রভাবে সরকার ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়িয়েছে। ২৫ তারিখের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কিনা এর নিশ্চয়তা নেই। কাজ না থাকায় এরই মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের খেটেখাওয়া মানুষ পড়েছেন দুর্ভোগে। একদিকে পরিবার পরিজন, অন্যদিকে একবারে বন্ধ হয়ে গেছে আয়। সরকারি ও বেসরকারিভাবে তারা যে খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন তা ফুরিয়ে গেলে কীভাবে চালাবেন তা নিয়ে ভাবনার শেষ নেই। অন্যদিকে দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন মধ্যবিত্তরাও। তাদের যেটুকু সঞ্চয় ছিল তা বসে বসে খেয়ে শেষ পর্যায়ে। আগামীতে কীভাবে দিন পার করবেন এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারাও। কারণ নিম্ন মধ্যবিত্তরা না পারছেন কারও কাছে চাইতে না পারছেন অন্য কোনো কাজ করতে। মজিদ নামে শহরের এক রিকশাচালক জানান, সকাল ৭টায় বের হয়ে দুপুর পর্যন্ত আয় হয়েছে মাত্র ১০০ টাকা। সীমিত আকারে জনচলাচল করার কারণে আয় কমে গেছে। দিনমজুর হিসেবে যারা কাজ করতেন তারাও হয়ে পড়েছেন কর্মহীন। এদের চোখেমুখে হতাশার ছাপ। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চালক ও তাদের সহকারীদের আয় বন্ধ। তারাও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন পাড় করছেন। ঢাকা কোচের চালক আনারুল ইসলাম জানান, তিন সপ্তাহ ধরে ঢাকাগামী বাস বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে কষ্টে রয়েছেন তিনি। কবে গাড়ি চালাতে পারবেন তাও বলতে পারছেন না। জেলা মোটর ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইদুর রহমান জানান, লালমনিরহাটে প্রায় চার হাজার বাস, মিনিবাস ও মাইক্রোচালক রয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত সবাই এখন বেকার। একই অবস্থা হোটেল শ্রমিকদেরও। অনেকে মনে করছেন, বিক্ষিপ্তভাবে না দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হলে এর সুফল পাবে সাধারণ মানুষ।

জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক জানান, বেশির ভাগ শ্রমজীবী মানুষকে সরকারি সহায়তা হিসেবে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। যারা পাননি তাদের পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। এছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়েও খাদ্য সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর