তালিকায় নাম থাকলেও সরকারি কৃষি প্রণোদনার সার-বীজ পাননি বগুড়ার ধুনট উপজেলার ১০৫ জন কৃষক। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার বিকালে এ বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। প্রণোদনার আশায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর খালি হাতে ফেরেন ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের এসব কৃষক। জানা যায়, আগামী মৌসুমে আউশ ধান ও পিয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ধুনট পৌরসভা ও ১০ ইউনিয়নের ৮০০ কৃষককে ৫ কেজি করে ধান বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার এবং ১০ কৃষককে ২০০ গ্রাম করে পিয়াজ বীজ, ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার এবং নগদ ৫৫০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর উপকারভোগী কৃষকের তালিকা তৈরি করতে পৌর ও ইউনিয়ন কৃষি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি উপজেলার ৮১০ জনের তালিকা চূড়ান্ত করে। গত ১৯ এপ্রিল বীজ ও সার বিতরণ শুরু হয়। মঙ্গলবার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত ১০৫ কৃষকের মধ্যে বীজ-সার বিতরণের কথা ছিল। কৃষকরা ওই দিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও প্রণোদনা পাননি। কৃষক হাবিবর, শামছুল, চাঁন মিয়া ও আমজাদ জানান, আমরা গরিব মানুষ। তালিকায় নাম থাকায় সারাদিন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কার্যালয়ের সামনে অপেক্ষা করেছি, কিন্তু বীজ-সার পাইনি। অফিসাররা তালিকা পরিবর্তন করার কথা বলে সবাইকে ফিরিয়ে দিয়েছে। ভান্ডাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, ‘মেম্বার ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে মাঠ জরিপ করে চূড়ান্ত তালিকা কৃষি অফিসে পাঠানো হয়েছিল। ধুনটের কৃষি কর্মকর্তা মুশিদুল হক জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নে বীজ ও সার বিতরণ বন্ধ রাখতে বলায় কৃষকদের ফিরে যেতে হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল হাই খোকন বলেন, ‘ওই ইউনিয়নের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি।
