শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

‘সিন্ডিকেটে’ বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

মাদারীপুরে অসহায় মানুষ, মনিটরিং জোরদারের দাবি

মাদারীপুর প্রতিনিধি

‘সিন্ডিকেটে’ বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

বেড়েছে চাল ডাল চিনি ছোলা গরম মসলার দাম। মাদারীপুরের নিত্যপণ্যের একটি বাজার থেকে তোলা ছবি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মাদারীপুরে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। জেলায় হু হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। বাজারমূল্য ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যরা পড়েছেন বিপাকে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার না থাকাই এ অবস্থার জন্য দায়ী- এমন দাবি স্থানীয়দের। রমজান ও করোনার প্রাদুর্ভাবকে পুঁজি করে দিন দিন বাড়ছে পিয়াজ, রসুন, তেল, ছোলা, চাল-ডাল, বেসন, চিনিসহ অনেক পণ্যের দাম। অভিযোগ আছে, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে এসব পণ্যের। মাদারীপুরের একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, জেলায় নিত্যপণ্যের পাইকারী ব্যবসায়ী রয়েছেন হাতেগোনা কয়েকজন। এদের সিদ্ধান্তেই পণ্যের দাম বাড়ে কমে। তারাই সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন। অথচ তাদের গুদামে বিপুল পরিমাণ পণ্য মজুদ রয়েছে। মাদারীপুরের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র পুরানবাজারের ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন বলেন, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে প্রায় প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পণ্য বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এর প্রভাব পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে। এসব দেখভালের দায়িত্ব যাদের ওপর, তারা রয়েছেন নীরব। মনিটরিং না থাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে এ সিন্ডিকেট। মাদারীপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে কেজিপ্রতি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে। অথচ এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি চিনি ৫৫ এবং দুই সপ্তাহ আগে ৫০ টাকা করে বিক্রি হতো। বর্তমানে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। অথচ দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হতো ৬৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও ছোলার কেজি ছিল ৭০ টাকা। মোটা চালের কেজি ৪৮ টাকা। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা আর ২ সপ্তাহ আগে দাম ছিল ৩৮ টাকা। মসুর ডাল দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৫২ টাকা। সেই ডাল বর্তমানে ৯০ টাকা কেজি। গুঁড়া মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগেও দাম ছিল ২৫০ টাকা। জিরা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা অথচ এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩৫০। দুই হাজার টাকা কেজির এলাচ এখন বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকায়। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হতো চিড়া। সেই চিড়া এখন ৭০ টাকা। মুুুড়ির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, বাজার মনিটরিংয়ের জন্য লোক পাঠানো হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দোষীদের শান্তির আওতায় আনা হবে।

সর্বশেষ খবর