শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

ব্লাস্টে শুকিয়ে যাচ্ছে ধান

আবদুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ

ব্লাস্টে শুকিয়ে যাচ্ছে ধান

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। সংক্রমণের কারণে কৃষকের স্বপ্নের ফসল ধানের শীষগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ ছিটিয়ে কোনো সুফল মিলছে না। শত শত হেক্টর জমিতে রোগ দেখা দেওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশে ২২ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। উচ্চ ফলনের আশায় চলতি মৌসুমে কৃষকরা জমিতে উচ্চফলনশীল ব্রি-২৮, ব্রি-২৯, ব্রি-৩৬, মিনিকেট, ভারতীয় জাত গুটি স্বর্ণা, কাটারিভোগ, স্থানীয় জাত নাটোর ও রণজিৎসহ বিভিন্ন প্রকার ধান চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে উপজেলার ভোগলমান, আড়ঙ্গাইল, আসানবাড়ী, কোহিত তেঁতুলিয়া, বিনসাড়া, তালম ও পাড়িলগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় শত শত হেক্টর জমির ধানে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়। এতে ধানের শীষগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার ভাদাসের কৃষক মানসুর রহমান ও আসানবাড়ীর কৃষক শাহ আলম জানান, করোনাভাইরাস আতঙ্কে এমনিতে উপার্জনহীন। তার ওপর ধানখেতে দেখা দিয়েছে গলা-পচা ও শীষমরা রোগ। এতে ধানের ফলন কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ রোগ যদি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে সব ধান নষ্ট হয়ে যাবে।   উপজেলার পাড়িল গ্রামের কৃষক সেলিম জানান, আমার কাটারি ভোগের ধানে ব্লাস্ট রোগ আক্রমণ করেছে। অনেক ওষুধ ছিটিয়েও সুফল পাচ্ছি না। কৃষকের অভিযোগ, পরামর্শের জন্য কৃষি অফিসের মাঠকর্মীদের সঠিক সময়ে পাওয়া যায় না। তাই দোকান থেকে ওষুধ কিনে ছিটানো হচ্ছে। তবে মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের দাবি, কৃষকরা তাদের পরামর্শ মানতে নারাজ। কৃষকরা নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করায় নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাড়াশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, যেসব কৃষক কৃষি বিভাগের পরামর্শ ছাড়া নিজেদের ইচ্ছেমতো ওষুধ প্রয়োগ করেছেন সেসব কৃষকের স্বল্প কিছু জমিতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। খেতগুলো পরিদর্শন করে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া  হয়েছে।

পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করলে সংক্রমণ বাড়বে না বলেও তিনি জানান।

সর্বশেষ খবর