রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

দিনাজপুরে উৎকণ্ঠায় নিম্নআয়ের মানুষ

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে নিম্নআয়ের মানুষের। রিকশা, ইজিবাইক চালক, দিনমজুর, হোটেল কর্মচারী, রাজমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি এবং ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। সরকারি-বেসরকারিভাবে কেউ কেউ খাদ্যসামগ্রী যা পাচ্ছেন, তাতে তাদের দৈনন্দিন চাহিদা মিটছে না বলে অনেকেই আক্ষেপ করছেন। লকডাউনের কারণে নিম্ন আয়ের লোকজন উপার্জনহীন অবস্থায় হাতে যা ছিল তাও শেষ। এখনই উপার্জনের ব্যবস্থা করতে না পারলে জীবনধারণ নিয়ে অনাগত দুর্দশার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তারা। তাদের চোখে মুখে এখন চিন্তার ছাপ।  চিরিরবন্দর উপজেলার রাণীরবন্দর বাসস্টান্ডে যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকা রিকশাচালক আব্দুল হালিম বলেন, রোজগারের আশায় রিকশা নিয়ে বসে আছি। যাত্রী নাই। আয়-রোজগারও কমে গেছে। রিকশাচালক আবু তাহের, আব্দুর রাজ্জাকসহ অনেকেই জানান-দৈনিক সংসারে ৩০০/৪০০ টাকা খরচ হচ্ছে। এখন দৈনিক রোজগার হচ্ছে ১০০-২০০ টাকা। এরমধ্যে রিকশার মালিককে জমা দিতে হচ্ছে ১০০ টাকা। এই অবস্থায় তাদের সংসার চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে।

 

চিরিরবন্দর সুইহারী বাজারের মুচি রামসুন্দর ও মানিক জানান, করোনাভাইরাসের কারণে বাজারে লোকজনের উপস্থিতি কম হওয়ায় তাদের কাজকর্মও তেমন একটা নেই। এতে যা আয় হয়, তা দিয়ে তাদের সংসারের খরচ মেটানো যায় না।

নশরতপুর, আলোকডিহি, তেঁতুলিয়া, সাতনালা গ্রামের কয়েকজন দিনমজুর জানান, দিনমজুরের কর্ম করে আহারের সংস্থান হয় তাদের পরিবারের। তারা দৈনিক ৩০০/৩৫০ টাকা আয় করে কোনো রকমে দিনযাপন করেন। কিন্তু এখন কর্মহীন।

রাণীরবন্দর সুইহারীবাজারের হোটেলের কর্মচারী দেলোয়ার হোসেন জানান হোটেল বন্ধ রয়েছে। এতে তাদের আয়ের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। সংসার কিভাবে চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

সর্বশেষ খবর