শুক্রবার, ১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

অপ্রতুল ত্রাণ, বিপাকে জনপ্রতিনিধিরা

নীলফামারী প্রতিনিধি

চাহিদার চেয়ে ত্রাণ বরাদ্দ অপ্রতুল থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের। অপর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী বিতরণে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। খাদ্য সহায়তা না পাওয়া ব্যক্তিরা এরই মধ্যে জেলার কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভ করেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তালিকা করে বঞ্চিত মানুষদের খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ফান্ড গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।  জানা যায়, নীলফামারী জেলা সদরের গোড়গ্রাম, ইটাখোলা, সংগলশী, কুন্দপুকুর, চড়াইখোলা, ডোমার উপজেলার সোনারায়, সৈয়দপুরের খাতামধুপুর এবং উপজেলা শহরের উত্তরা আবাসন, সাহেবপাড়া ও মিস্ত্রিপাড়ায় খাদ্যের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিপন জানান, আমার ইউনিয়নে ত্রাণ প্রয়োজন ছয় হাজার ৫৫৫ জনের। বরাদ্দ পেয়েছি মাত্র ৭২৭ জনের। করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়ায় প্রতিনিয়ত মানুষ আমাদের কাছে আসছেন কিন্তু কিছু করার নেই। সদর উপজেলার রামনগর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, তার ইউনিয়নে চার হাজার ২০০ জনকে ত্রাণ সহয়তা দেওয়া প্রয়োজন কিন্তু দিতে পেরেছি মাত্র ৬০০ জনকে।

তিনি জানান, দিন যত যাচ্ছে তত সুবিধাবঞ্চিত মানুষের খাদ্য সংকট প্রকট হচ্ছে। দ্রুত বরাদ্দ বাড়নো প্রয়োজন। অভিযোগ আছে, কিছু এলাকায় ত্রাণ দেওয়ার নামে সবার কাছ থেকে আইডি কার্ড নিয়েও দিতে না পারায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছে মানুষ। ত্রাণ বিতরণেও রয়েছে সমন্বয়হীনতা। সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বেলায়েত হোসেন জানান, সংগলশী ইউনিয়নের শিমুলতলি, টেক্সটাইল ও গোড়গ্রামে গিয়েছিলাম সেখানে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ত্রাণবঞ্চিতরা।

একজন ইউপি সদস্য যে রবাদ্দ পান, তার পুরোটা সমন্বয় করে বিতরণ করলে হয়তো এমন হতো না। জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্র জানায়, নীলফামারীতে অগ্রাধিকার তালিকায় চার লাখ ৬৬ হাজারের মধ্যে এক লাখ ৬১ হাজার পরিবার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় রয়েছে। বাকি তিন লাখ ৫ হাজার পরিবারের মধ্যে ৫৯ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া সম্ভব হলেও অন্যরা সুবিধার বাইিরে রয়েছেন। জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, সরকারি বরাদ্দ পর্যায়ক্রমে আসছে। সেটি উপ-বরাদ্দ দিয়ে বিতরণ করা হচ্ছে মানুষের কাছে। এরপরও অনেকে সংকটে রয়েছেন। সরকারি বরাদ্দ যাতে সঠিক ও নিরপেক্ষভাবে বিতরণ করা হয় এ লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর