শুক্রবার, ১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ধানের বাম্পার ফলনেও দুশ্চিন্তায় কৃষক

নাটোর প্রতিনিধি

ধানের বাম্পার ফলনেও দুশ্চিন্তায় কৃষক

গুরুদাসপুরে কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে কাটা হচ্ছে ধান

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলনবিল অঞ্চলের মাঠে মাঠে এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলনবিল অধ্যুষিত গুরুদাসপুরেও ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশির জোয়ারে ভাসছেন কৃষকরা। এবার সময়মতো সার, বীজ, কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা খুশি হলেও করোনাভাইরাসের কারণে ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। সূত্র জানায়, গত বছর ধান বিক্রি করে কৃষকদের উৎপাদন খরচই ওঠেনি। এবার ‘কম্বাইন্ড হারভেস্টার’ মেশিনের সাহায্যে ধান কাটার পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধান মাড়াই ও বস্তাজাত করা হচ্ছে। এতে কৃষকদের সময় এবং অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে।

 গুরুদাসপুরের খুবজীপুর ইউনিয়নের রুহাই গ্রামের কৃষক রতন, বিলসা গ্রামের কৃষক হাবিবুরসহ অনেকে জানান, এ বছর ধানের ভালো ফলন হয়েছে। নেই শ্রমিক সংকট। ফলে অতিরিক্ত মজুরিও দিতে হচ্ছে না। সঠিক সময়ে ধান কাটতে পারায় বিঘাপ্রতি ২০ থেকে ২৫ মণ করে ধান উৎপাদন হয়েছে। কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ন্যায্যমূল্যে ধান ক্রয় করতে সরকারি ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে হবে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে ঋণের বেড়াজালে আটকে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল করিম ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোছা. উম্মে কুলসুম বলেন, সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ধান কাটা শেষ হলেই কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর