রবিবার, ৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনামুক্ত শুধু রাঙামাটি

রাঙামাটি প্রতিনিধি

করোনামুক্ত শুধু রাঙামাটি

মানুষ যাতে ঘরে থাকে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সেনাবাহিনী। অসহায় মানুষের মধ্যে কাঁধে বয়ে নিয়ে বিতরণ করছেন তাদের রেশনের অংশ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাঙামাটি জেলা এখনো করোনামুক্ত রয়েছে। দেশের বাকি ৬৩ জেলায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও সংক্রমণের বাইরে রয়েছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বাসিন্দারা। অপর দুই পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতেও করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। রাঙামাটিকে করোনামুক্ত রাখতে চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে সক্রিয় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন। মানুষকে ঘরে রাখতে চলছে আপ্রাণ যুদ্ধ। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ জানান, মহামারী করোনাভাইরাস ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে আছে রাঙামাটির স্থানীয় প্রশাসন। গত দেড় মাস ধরে মানুষকে ঘরে রাখতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। পাহাড়ি এই জেলায় মাঠপর্যায়ে কাজ করা খুবই কঠিন। দুর্গম এলাকাগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। কিন্তু সেখানেও পায়ে হেঁটে সেনাসদস্য ও জেলা প্রশাসনের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে মানুষ যাতে ঘরে থাকে তার জন্য নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো হচ্ছে। রাঙামাটিতে করোনাভাইরাস ঠেকাতে সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে সেনাবাহিনীও। নিজেদের রেশনের অংশ তারা পাহাড়ি অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিতরণ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় জীবাণুনাশক ও সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, মানুষ যদি আরও কিছু দিন ধৈর্য ধরে ঘরে থাকে তাহলে রাঙামাটিকে করোনামুক্ত রাখা সম্ভব।

খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর ত্রাণ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, খাগড়াছড়ির গুইমারা রিজিয়নের সেনাসদস্যরা ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসির নির্দেশনায় রমজানে দুর্গম পাহাড়ে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। শুক্রবার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দীর্ঘ ছুটিতে কর্মহীন হয়ে পড়া শতাধিক হতদরিদ্র ও ধর্মযাজকদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামান।

পার্বত্যাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সেনাসদস্যরা করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রত্যন্ত পাহাড়ি পল্লীতে মানুষের ঘরে খাদ্যসামগ্রী  পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর