অপহরণের ৪ দিন পর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ীর পারিজাত আমতলা এলাকা থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত আলিফ হোসেন (৫) পারিজাত আমতলা এলাকার ফরহাদ হোসেনের ছেলে। শনিবার রাতে র্যাব ওই শিশুর বাড়ির ৩ তলায় ঝুট গুদামের ভিতর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। র্যাব-১ এর গাজীপুরের পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন গতকাল প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ২৯ এপ্রিল বিকালে আলিফকে অপহরণ করে জুয়েল আহমেদ সবুজ ও সাগর। অপহরণের পর ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল তারা। একপর্যায়ে আলিফের বাবা ২০ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। টাকা দিতে মোবাইলে বিভিন্ন জায়গায় ফরহাদ হোসেনকে যেতে বলে অপহরণকারীরা। শনিবার সন্ধ্যায় পূবাইল এলাকায় টাকা নিয়ে যান ফরহাদ। সেখান থেকে রাত দেড়টার দিকে সাগরকে আটক করেন র্যাব সদস্যরা। তার দেওয়া তথ্যমতে ফরহাদ হোসেনের বাড়ির তৃতীয় তলার ঝুটের গুদামের ভিতর থেকে আলিফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সাগর জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানায়, কয়েকদিন আগে ফরহাদ হোসেন তাদের ভাড়াটিয়া জুয়েল আহমেদ সবুজকে ভবনের ছাদে উঠে মেয়েদের ডিস্টার্ব করার কারণে চড়-থাপ্পর দেন। এর প্রতিশোধ নিতে জুয়েল আহমেদ সবুজ ও সাগর শিশু আলিফকে অপহরণ করে তাদের বাড়ির তৃতীয় তলায় ঝুট গুদামে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
র্যাব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গ্রেফতার সাগর ও তার দুই বন্ধু ৬ মাস ধরে ভিকটিমদের বাড়ির তৃতীয় তলায় ভাড়া থেকে গার্মেন্টসে চাকরি করছিল।