মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ত্রাণ দাবিতে রসিক কার্যালয় ঘেরাও

মাদারীপুরে বিক্ষোভ মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর ও মাদারীপুর প্রতিনিধি

ত্রাণ দাবিতে রসিক কার্যালয় ঘেরাও

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ত্রাণবঞ্চিত হতদরিদ্রদের মানববন্ধন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তার দাবিতে রংপুরে সড়ক অবরোধসহ সিটি করপোরেশন কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন সহস্রাধিক মানুষ। গতকাল রংপুরের এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রিকশা, ভ্যান, ঠ্যালা ও অটোবাইক শ্রমিকসহ দিনমজুর মানুষ অংশ নেন। নগরীর সিটি বাজারের কাছ থেকে টাউন হল চত্বর সড়ক এলাকা পর্যন্ত বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তারা বেকার হয়ে আছেন। সরকারি, বেসরকারিভাবে তেমন ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছেন না। এতে হাত গুটিয়ে বসে থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এই পরিস্থিতিতে তারা বাধ্য হয়ে সড়কে নেমেছেন। বিক্ষোভকারীরা সিটি করপোরেশনের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তিসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সেখানে উপস্থিত হন। পরে স্থানীয় শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের দাবি-দাওয়া শোনার পরে মেয়রের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা চলে যান। মাদারীপুর প্রতিনিধি জানান, মাদারীপুরের কালকিনিতে ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। উপজেলার সাহেবরামপুর এলাকায় গতকাল বিকালে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষুব্ধরা অভিযোগ করেন, সাহেবরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিম ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইমরান দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সরকারি ত্রাণ প্রকৃত দরিদ্রদের না দিয়ে ব্যক্তিগত লোক ও বিত্তশালীদের মধ্যে বিতরণ করেছেন। ত্রাণবঞ্চিত হতদরিদ্র এসকান্দার পাইক, সুজন হাওলাদার ও দুলাল বলেন, চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিম ও মেম্বার ইমরান আমাগো গরিবগো ত্রাণ না দিয়ে তারা নিজেদের পছন্দের লোকদের মাঝে বিতরণ করেছেন। ত্রাণ না পেয়ে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। সাবেক ইউপি সদস্য বাহারুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিম ও মেম্বার ইমরান হাওলাদারের দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় তারা কিছুদিন আগে আমাকে লাঞ্ছিত করেছেন। আমি তাদের বিচার চাই। ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হবে।

সর্বশেষ খবর