বুধবার, ৬ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ধানে চিটা, লোকসানে কৃষক

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

ধানে চিটা, লোকসানে কৃষক

চলতি বোরো মৌসুমে দীর্ঘ সময় খরা ও সেচ সুবিধা না থাকায় মৌলভীবাজারের হাকালুকি, কাউয়াদীঘি, হাইল হাওরসহ ছোটবড় হাওরগুলোয় ধানে চিটা ধরেছে। আবার কোথাও পুরো জমির ধানে চিটা হওয়ায় কাটার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে লোকসানে পড়েছে জেলার কয়েক হাজার কৃষক। তবে জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, মৌলভীবাজারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদিত হয়েছে। কৃষক বলছে, কৃষি অফিসের লোকজন মাঠ পরিদর্শন না করে অফিসে বসেই তথ্য সংগ্রহ করেন। তারা সব সময় লক্ষ্যমাত্রা বেশি দেখিয়ে দেন; যা কৃষকের জন্য ক্ষতিকর। জানা যায়, হাকালুকি, কাউয়াদীঘি, হাইল হাওর পারের কৃষক এক ফসলি বোরোর ওপর নির্ভরশীল। বোরো ধানের আয় দিয়েই তাদের পুরো বছরের সাংসারিকসহ ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ চলে। এ বছর ধানে চিটা থাকায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আগামী বছর কীভাবে চলবেন, এ চিন্তায় আছেন তারা। হাওর কাউয়াদীঘির পুবপাড়ের পশ্চিম ভাগ গ্রামের জিল্লু মিয়া বলেন, ‘এ বছর খরার কারণে পানির অভাবে আমার প্রায় ৫ বিঘা জমির ধানে চিটা ধরে কাটার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।’ এ হাওরের নানু মিয়া, সামছুলসহ অনেকে বলেন, সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে জমিতে ধানের উৎপাদন অর্ধেকে নেমেছে। হাকালুকি হাওর পারের এলাইছ, গিয়াস ও ইদই মিয়া বলেন, সেচের অভাবে অর্ধেক ধানে চিটা হয়ে গেছে। কাটার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বহু খেত। বোরো চাষ করে এবার বড় ধরনের লোকসান গুনতে হচ্ছে। মৌলভীবাজার কৃষি অধিদফতরের উপপরিচালক কাজী লুৎফুল বারি বলেন, ‘কিছু জমিতে চিটা ধরেছে তা আমাদের চোখে পড়েছে। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ধানের দাম বেশি থাকায় কৃষক লাভবান হবেন।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর