শনিবার, ৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ফসলি জমিতে মাটির স্তূপ বাধা দিলে মামলা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নে ফসলি জমি নষ্ট করে মাটি স্তূপ করে রাখা এবং জমির ওপর দিয়ে ট্রাকে মাটি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কৃষকরা বাধা দিতে গেলে দেওয়া হয় চাঁদাবাজি মামলা। ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

কৃষকরা ফসলের ক্ষতি হওয়ার বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। চেয়ারম্যান ফসলের ক্ষতি ও মাটি বিক্রি বন্ধের জন্য প্রথমে ইউএনও ও পরে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। এতে চেয়ারম্যান ও প্রতিবাদ করা কৃষকদের বিরুদ্ধে সাব-ঠিকাদার মামুন পালং মডেল থানায় চাঁদাবাজি মামলা করেন। ওই মামলায় গত ২৭ এপ্রিল চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। অন্য আসামিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। দক্ষিণ ভাষানচর গ্রামের খাদিজা, হেলেনা, সাফিয়া, ইউনুস, দেলোয়ার ও বাবুল জানান, আমরা গরিব মানুষ। কৃষি কাজ করে খাই। সরকারি খাল খননে আমাদের আপত্তি নাই। কিন্তু খননের নামে ফসলি জমিতে মাটি ফেলে ব্যাপক ক্ষতি করা হচ্ছে। এরপর ট্রাকে করে জমির ওপর দিয়ে ফসল নষ্ট করে মাটি নেওয়া হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। সাব-ঠিকাদার মতিউর রহমান মামুন বলেন, আমি খালের মাটি নিলামে কিনেছি। কৃষকের জমি নষ্ট হয়েছে এ কথা আমার জানা নাই। আমাকে মাটি আনতে বাধা দিয়েছে, তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম উদ্দিন বলেন, খালকাটা নিয়ে চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। ইউএনও মাহবুর রহমান শেখ বলেন, ‘মাটি নিলামে বিক্রি হয়েছে। শুনেছি চেয়ারম্যানকে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর