রবিবার, ১০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

সাত কর্মচারীর বেতন ছয় মাস ধরে বন্ধ

গোপালগঞ্জ সিজেএম আদালত

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

আদালত বা প্রশাসনিক আদেশ ছাড়াই গোপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৭ কর্মচারীর বেতন ৬ মাস ধরে বন্ধ। করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে এ সব কর্মচারী বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। বেতন-ভাতা দ্রুত প্রদানের দাবি জানিয়েছেন তারা। গোপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজাদুর রহমান জানান, ২০০৭ সালে নির্বাহী থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করা হয়। তখন গোপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জেলা প্রশাসনের ৭ কর্মচারী যোগদান করেন। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ৭ কর্মচারীর মধ্যে একজনকে জারিকারক ও বাকিদের বেঞ্চ সহকারী হিসেবে আদালতে আত্তীকরণের আদেশ দেয়। পরবর্তীতে সরকার পক্ষ এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। এটি চলমান আইনি প্রক্রিয়া। ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭ কর্মচারীর বেতন-ভাতা গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিয়ে আসছিলেন। জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই গত অক্টোবর থেকে জারিকারক ও নভেম্বর মাসে ৬ বেঞ্চ সহকারীর বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেন। তিনি জানান, তাদের বেতন-ভাতা চালুর জন্য গত ২০ জানুয়ারি ও ৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হলেও এখনো তারা পাননি। গোপালগঞ্জে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার সময় আমাদের ১১ জন জনবল, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সাপোর্ট দিয়ে চিফ জুজিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে সহযোগিতা করেছিল। এর মধ্যে ৩ জন ডিসি অফিসে ফিরে এসেছেন। ৭ জন এখনো ফিরেননি। তাদের পদ শূন্য হয়নি। তাই নতুন লোক নিয়োগ দিতে পারছি না। তারা ডিসি অফিসে যোগ দিলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর