সোমবার, ১১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

বাঁধে ধস, আতঙ্কে মানুষ

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

বাঁধে ধস, আতঙ্কে মানুষ

বাগেরহাটে শরণখোলায় ধসে যাওয়া বেড়িবাঁধ

বাগেরহাটের শরণখোলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়িবাঁধে শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ সাউথখালী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। শনিবার রাত ৮টার দিকে আশার আলো মসজিদের সামনে থেকে প্রায় ১০০ ফুট বাঁধ বলেশ্বর নদীতে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বাড়িঘর ও বোরো ধানসহ ফসল তালিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছে তিন গ্রামের কয়েকশ পরিবার। এ অবস্থায় জোয়ারের পানি ঠেকাতে ওই দিন রাত থেকেই ভাঙন এলাকায় জরুরি রিংবাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে ভাঙনের খবর পেয়ে গতকাল বিকালে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনের এমপি আমিরুল আলম মিলন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে তিনি বাংলাদেশ পানি উন্নয় বোর্ডের উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি) কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের ভাঙন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তিনি জানান, পানিসম্পদমন্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়েছে। মন্ত্রী নদী শাসনের বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প ফেজ-১ (সিইআইপি-১) এর আওতায় ৬২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের টেকসই উন্নয়ন ও স্লুইসগেট নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জের কিছু অংশ নিয়ে এ বাঁধের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চীনের ‘সিএইচডাব্লিউই’ নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান করছে নির্মাণকাজ। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফ হোসেন জানান, ৬২ কিলোমিটার টেকসই বাঁধের ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ জমি অধিগ্রহণ শেষ হলে দ্রুত শুরু করা হবে। বিশ্বব্যাংকে প্রস্তাবনা পাঠানোর পর নদী শাসনের বিষয়টিও সমাধানের পথে।

ভাঙন এলাকা থেকে যাতে জোয়ারের পানি ঢুকতে না পারে সে জন্য জরুরি রিংবাঁধ দেওয়া হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর