মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ ভাঙচুর

♦ শতভাগ বেতন-ভাতা দাবি ♦ কারখানা ছুটি ঘোষণা

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ ভাঙচুর

গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন পোশাক শ্রমিকরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

গাজীপুরে শতভাগ বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে গতকাল কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট করেছেন। এ সময় তারা কারখানায় ভাঙচুরও করেছেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিক্ষোভের মুখে একটি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার ও স্থানীয়রা জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন চলাকালে যেসব কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করতে পারেননি শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের বেতনের ৬০ শতাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু কাশিমপুরের সারদাগঞ্জের বারেন্ডা কাজী মার্কেট এলাকার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ওই সিদ্ধান্ত না মেনে কয়েকদিন ধরে শতভাগ বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এ পোশাক কারখানায় প্রায় ১৩ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। শ্রমিকরা সোমবার সকালে কাজে যোগ দেন। ৯টার দিকে তারা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে না নেওয়ায় দুপুরে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। এ সময় কিছু শ্রমিক কারখানায় হামলা চালিয়ে ও ইট পাথর ছুড়ে দরজা-জানালার কাচসহ মালামাল ভাঙচুর করেন। বেলা আড়াইটার দিকে শ্রমিকরা তাদের আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করে কারখানা এলাকা ত্যাগ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কারখানা দুই দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। গাজীপুর শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর ইসলাম হোসেন ও শ্রমিকরা জানান, একই দাবিতে সোমবার সকাল থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকায় আরেকটি কারখানার শ্রমিকরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেতন-ভাতা পরিশোধের আশ্বাস দিলে দুপুরে আন্দোলন প্রত্যাহার করে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন। একই দাবিতে কালিয়াকৈরের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরাও কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছেন। এ ছাড়া শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী এলাকার অপর একটি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। গাজীপুর শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর রেজাউল করিম রেজা জানান, সোমবার ছিল এ কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের পূর্বনির্ধারিত তারিখ। করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শতকরা ৬০ ভাগ হারে শ্রমিকদের বেতন তাদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। এতে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হন। তারা শতভাগ বেতন দাবিতে সকাল ৯টা হতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ শ্রমিক ও কারখানা মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে। শ্রমিকরা বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তাদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করে কারখানা এলাকা ত্যাগ করে।

সর্বশেষ খবর