সোমবার, ১৮ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

শার্শায় মনগড়া বিলে বিপাকে গ্রাহক

যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১

বেনাপোল প্রতিনিধি

করোনার সময় ‘গড় বিল’র নামে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ কর্তৃপক্ষ অফিসে বসে মনগড়া বিল করায় গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। গ্রাহকরা বলছেন, তাদের মিটারের রিডিং না দেখেই গত বছরের বিলের দেড় থেকে দ্বিগুণ বেশি করে বিল তৈরি করে শার্শা উপজেলায় বাড়ি বাড়ি বিলের কপি পৌঁছে দিচ্ছে। লকডাউন ও সরকারি ছুটির কারণে বিলের জরিমানা নেওয়া হবে না বলা হলেও ব্যাংকে বিল নিয়ে গেলে জরিমানা নিচ্ছে বলেও অভিযোগ আছে। প্রতিটি বিলের কপিতে সিল আছে ‘আপনার অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আপনার গত বছরের একই সময়/একই মাসের বিদ্যুৎ ব্যবহারের ভিত্তিতে গড় বিল প্রণয়ন করা হলো। কোনো অসঙ্গতি থাকলে পরবর্তীতে তা সংশোধন/সমন্বয় করা হবে। বাংলাদেশ মানবধিকার কমিশনের বেনাপোল শাখার সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, ‘গড় বিলের নামে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে। প্রতিটি বিলে গত বছরের চেয়ে দেড় থেকে দ্বিগুণ বেশি দেওয়া হচ্ছে। এখানে বেশি ইউনিট দেখানোর কারণে বিলের ধাপও পরিবর্তন হচ্ছে। টাকার অংকও বাড়ছে।’ বেনাপোল নামাজ গ্রামের আলি আজগার বলেন, এ কেমন গড় বিল বুঝলাম না। এপ্রিল মাসে আমার বিল এসেছে ১ হাজার ২২৪ টাকা। অথচ ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের বিল ছিল ৬৬৭ টাকা। করোনাভাইরাসের অজুহাতে ডাকাতি করা হচ্ছে। মহামারীতে বেকারত্বের দিনে তিনি এই অতিরিক্ত বিল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বাগআঁচড়ার এজিএম মামুন মোল্লা জানান, ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিল পরিশোধে বিলম্ব মাশুল দিতে হবে না। ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত বিল করা হলে পরে সমন্বয় করে দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এভাবে প্রকৃত হিসাব মেলাতে পারব না। কিছু কমবেশি হবে। এই পরিস্থিতিতে আমরা রিডিং আনতে পারিনি, মানুষের বাড়ি যেতে পারিনি। আমরা বুঝতেছি কিছু গড়মিল হয়েছে। আমাদের অফিস খোলা আছে। আসলে ঠিক করে দিচ্ছি।

সর্বশেষ খবর