শনিবার, ৩০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ফাঁকা হচ্ছে শেরপুর কারাগার

ভার্চুয়াল আদালতে ঈদের ছুটির আগ পর্যন্ত জামিন ও ক্ষমা পেলেন ২৭৫ জন

শেরপুর প্রতিনিধি

ভার্চুয়াল আদালতের আওতায় গত ২০ মে পর্যন্ত শেরপুরে লঘু অপরাধে সরকারের সাধারণ ক্ষমা এবং কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ২৭৫ আসামি। এর মধ্যে ভার্চুয়াল আদালত থেকে জামিন পেয়েছে ২২৩ জন। আর লঘু অপরাধে সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পেয়েছেন ১৫ আসামি। ১০০ বন্দীর ধারণক্ষমতা থাকলেও এ কারাগারে ৫৭৭ জন বন্দী ছিল। করোনার কারণে দীর্ঘ সময় আদালতসহ অন্য সরকারি অফিস বন্ধ থাকায় আটকে যায় অনেক বন্দী। কদিন আগে সরকার ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার নির্দেশ জারি করে। এই ভার্চুয়াল আদালতের কল্যাণে ৫ কর্মদিবসে ২৩৮ জন বন্দীর জামিন ও মুক্তিতে কারাগারে কমেছে বন্দী সংখ্যা। ফলে ফাঁকা হচ্ছে শেরপুর জেলা কারাগার। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভার্চুয়াল আদালতের আওতায় শেরপুরে বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন পেয়েছেন ৫৮ জন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে জামিন পেয়েছেন দুজন। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসহ আমলি আদালতগুলোতে ২১ জনের জামিন হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমনসহ শিশু আদালতে জামিন পেয়েছেন ১৫ জন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসহ আমলি আদালতে (৭ কার্যদিবসে) মোট ১৬৪ আসামির জামিন হয়েছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধসহ কারাগারে ঘনত্ব কমানোর লক্ষ্যে সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় ইতিমধ্যে ২ দফায় মুক্তি পেয়েছেন ১৫ আসামি। শেরপুর কারাগারের জেলার তরিকুল ইসলাম জানান, ভার্চুয়াল আদালতের আওতায় জামিনে বেরিয়ে গেছেন আড়াই শতাধিক আসামি। ভার্চুয়াল আদালতকে এ সময়ের জন্য যুগান্তকারী বলেছেন এই কারারক্ষক। করোনাকালে বিচারপ্রার্থী মানুষ এবং আইন-আদালত সংশ্লিষ্টদের জন্য বিচার বিভাগের ভার্চুয়াল আদালতের এই সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী বলেছেন শেরপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোরাদুজ্জামান মুরাদ।

সর্বশেষ খবর