সোমবার, ১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

লাহারহাট-ভেদুরিয়া রুটের ফেরিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়

প্রতিবাদ করলে নির্যাতনের অভিযোগ

রাহাত খান, বরিশাল

লাহারহাট-ভেদুরিয়া রুটের ফেরিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়

ফেরিঘাটে অতিরিক্ত অর্থ আদায়কে কেন্দ্র করে প্রায়ই ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা

বরিশাল থেকে দ্বীপ জেলা ভোলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনকারী লাহারহাট-ভেদুরিয়া রুটের ফেরিতে যানবাহনে ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ফেরি পরিচালনাকারী বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মচারীরা ভাড়ার অতিরিক্ত ৪ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করছে প্রকাশ্যে। এর প্রতিবাদ করলে পরিবহন শ্রমিকদের শারীরিক নির্যাতন এবং হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। যদিও অভিযুক্তরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিআইডব্লিউটিসির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান। দ্বীপজেলা ভোলার সঙ্গে বরিশালসহ সারা দেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ২০০২ সালে বরিশালের লাহারহাট ও ভোলার ভেদুরিয়া রুটে ফেরি সার্ভিস চালু করে বিআইডব্লিউটিসি। লাহারহাট চ্যানেল এবং কালাবদর ও তেঁতুলিয়া নদী পার হয়ে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ফেরিতে নিয়মিত রুটের কোনো যাত্রীবাস পারাপার হয় না। এই ফেরির বেশিরভাগ সেবা গ্রহীতা পিকআপ, পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি এবং কিছু ব্যক্তিগত যান। অথচ এই ফেরিতে সবচেয়ে বেশি হয়রানি আর ভোগান্তির শিকার হন পণ্যবাহী যানের চালক-শ্রমিকরা। ফেরি পার হতে প্রতিনিয়ত পণ্যবাহী যানের ৪০০ থেকে ৫০০ এবং সিরিয়ালের নামে আরও ১০০ টাকা করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়। প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে শারীরিক নির্যাতন, বেড়ে যায় হয়রানির মাত্রা। ট্রাকচালক মো. মনজুর আলম জানান, লাহারহাট থেকে ভেদুরিয়া পর্যন্ত ফেরিতে ১৬০০ টাকার ফেরি ভাড়া ১৮০০ টাকা করে আদায় করছে। এরপর আবার সিরিয়ালের নামে আদায় করা হচ্ছে ১০০ টাকা করে। প্রতিবাদ করলে জুলুমবাজি-গলাধাক্কা। লাহারহাট ফেরিঘাটের সিনিয়র টার্মিনাল সুপারিনটেনডেন্ট (অপারেশন) আবদুর রহিম জানান, কেউ যদি লিখিত অভিযোগ না করে তাহলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় কিংবা নির্যাতনের বিষয়টি তারা বুঝবেন কী করে? বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান জানান, বিআইডব্লিউটিসির প্রতিটি ফেরি রুটে ভাড়ার সুনির্দিষ্ট তালিকা রয়েছে। এর বেশি ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও লাহারহাট ফেরিঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় কিংবা শারীরিক নির্যাতনের বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন তিনি। ফেরিঘাটে কোনোভাবেই অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে জেলা প্রশাসক প্রয়োজনে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার কথা বলেন।

সর্বশেষ খবর