মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
নাটোরে সাপ্তাহিক হাট বন্ধ

লোকসানের মুখে ইজারাদাররা

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে করোনাভাইরাসের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন ইজারাদাররা। হাট বন্ধ থাকার কারণে লাখ লাখ টাকা হারিয়ে পথে বসতে চলেছে ছোট-বড় হাট ইজারাদাররা। এমতাবস্থায় সরকারি অনুদান প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা। তা না হলে লাখ লাখ টাকা পুঁজি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন ইজারাদাররা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ছোট-বড় মোট ১৭১টি সাপ্তাহিক ও দৈনিক হাটবাজার রয়েছে। প্রতি বছর সরকার এসব হাট ও বাজার ইজারার মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী মরণঘাতক করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশেও স্থবির হয়ে পড়েছে সবকিছু। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের কারণে জনসমাগম বন্ধ করার লক্ষ্যে সরকার বন্ধ করে দিয়েছিল জেলার সব সাপ্তাহিক হাট। দৈনিক বাজারগুলো দিনের নির্দিষ্ট সময় বসলেও সেগুলোও বন্ধ থাকছে সিংহভাগ সময়। নাটোর জেলার হাটগুলোর মধ্যে ঐতিহ্যবাহী ও বৃহত্তম হাট হচ্ছে তেবাড়িয়া হাট, মৌখাড়া হাট, চাচকৈড় হাট, নলডাঙ্গা হাট, সিংড়া হাট, হাতিয়ান্দহ এবং জামতৈল ধানের হাট। করোনাভাইরাসের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে এই হাটগুলো। এতে করে হাটের ইজারাদাররা লাখ লাখ টাকা লোকসানের মুখে পড়েছেন। এ ছাড়াও হাট বন্ধ থাকায় কৃষকরাও তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষি পণ্যগুলো বিক্রি করতে না পারায় লোকসানে পড়েছেন। তেবাড়িয়া হাটের ইজারাদার মোস্তারুল ইসলাম আলম বলেন, সরকারি ইজারার মাধ্যমে আইটি ও ভ্যাট দিয়ে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার মাধ্যমে এক বছরের জন্য তেবাড়িয়া হাটটি ইজারা নিয়েছি। কিন্তু করোনাভাইরাস প্রতিরোধের কারণে ১৩টি হাট বসানো সম্ভব হয়নি। সরকারিভাবে আমাদের যদি কোনো সহায়তা না দেওয়া হয় তাহলে পুঁজি হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভিক্ষা করেও অন্ন জোটানো সম্ভব হবে না। মৌখাড়া হাটের ইজারাদার সিরাজুল ইসলাম বলেন, চলতি মাসে প্রায় ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা রাজস্ব দিয়ে হাটটি ইজারা নিয়েছি। কিন্তু তারপর থেকেই হাট বসানো বন্ধ করা হয়েছে। নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাঙ্গাঙ্গীর আলম বলেন, ইজারাদারদের ক্ষতির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা নিশ্চয় কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন। নাটোর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি উমা চৌধুরী জলি বলেন, হাট ইজারাদাররাও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদেরও প্রণোদনার আওতায় আনা উচিত। তা না হলে তাদের অনেকেই পুঁজি হারিয়ে পথে বসবে।

সর্বশেষ খবর