বুধবার, ৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

শতবর্ষী রেইনট্রি গাছগুলো এখন মরণফাঁদ

বেনাপোল প্রতিনিধি

শতবর্ষী রেইনট্রি গাছগুলো এখন মরণফাঁদ

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পর যশোর রোডের শতবর্ষী রেইনট্রি গাছগুলো আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক ঝড়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নাভারন অংশে ২৩টি শতবর্ষী গাছ উপড়ে ও ভেঙে পড়েছে। এ গাছগুলো কেটে ফেলার দাবিতে গতকাল নাভারন বাজারে মানববন্ধন করেছে যশোর নাগরিক অধিকার আন্দোলন। এর আগে শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জুর বাড়িতে একটি গাছ ভেঙে পড়ে একজন মারা যান। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গেলেও সেদিন কোনো পরিবেশবাদী সেখানে যাননি। বেনাপোল বন্দরের উন্নয়ন ও মহাসড়ক প্রশস্তকরণের জন্য তিনি জীর্ণ ও মৃতপ্রায় গাছগুলো অপসারণের দাবি জানান। যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে গিয়ে দেখা গেল বহু গাছ ভেঙে মাটিতে শুয়ে আছে। কিছু গাছ ডালপালা খুইয়ে কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয়দের দাবি, যশোর- বেনাপোল সড়কের শতবর্ষী এই গাছগুলো এখন ‘জীর্ণ ও মৃতপ্রায়’।  যশোর জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ঐতিহাসিক যশোর রোডের যশোর-বেনাপোল অংশের ৩৮ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে দুই শতাধিক শতবর্ষী রেইনট্রি গাছ রয়েছে। গত ২০ মে রাতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে এই মহাসড়কের ২৩টি শতবর্ষী রেইনট্রি গাছ ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে। নাগরিক অধিকার আন্দোলন যশোরের সমন্বয়ক মাসুদুজ্জামান মিঠু জানিয়েছেন, আম্ফান ও ঘূর্ণিঝড়ে যশোর-বেনাপোল সড়কে ২৩টি গাছ উপড়ে পড়ে জনগণের জানমাল ও নবনির্মিত রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি করেছে। নাগরিক অধিকার আন্দোলন যশোর প্রথম থেকে বেনাপোল বন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল বিবেচনায় উন্নত সড়কের কথা বলে আসছে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না হলে অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হবে না এবং এলাকার মানুষের কর্মের যে আপার সম্ভাবনা তা নষ্ট হবে।

সর্বশেষ খবর