বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

হাতির তান্ডবে নষ্ট পাকা ধান, চিন্তায় কৃষক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

হাতির তান্ডবে নষ্ট পাকা ধান, চিন্তায় কৃষক

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বোরো খেতে বন্যহাতির পাল

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় বন্যহাতির তান্ডবে দিশাহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। গত এক সপ্তাই ধরে প্রতি রাতে সীমান্ত পেরিয়ে বন্যহাতির দল বাংলাদেশে ঢুকে পাকা ধানসহ নষ্ট করছে বিভিন্ন ফসল। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ও আগুন জ্বালিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করেও লাভ হচ্ছে না। জানা যায়, ২৫-৩০টি করে হাতির দল রৌমারী উপজেলার আলগারচর, খেওয়ারচর, বকবান্দা, ঝাউবাড়ী, চুলিয়ারচর ও বড়াইবাড়ীর চরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার ফসল খেয়ে ও পা দিয়ে পিষে নষ্ট করে ফেলছে। খেতের পাকা বোরো ধানসহ উঠতি ফসল হারিয়ে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। স্থানীয় কৃষকদের দাবি, প্রতি রাতে এ সব বন্যহাতি আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০৫৭ থেকে ১০৭২-এর মধ্য দিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে। রাতভর ফসলের ক্ষতি করে সকাল হলেই সীমানার নো-ম্যান্সল্যান্ডে অবস্থান নেয় তারা। এ সব হাতি খাবার না পেলে কৃষকের ঘর-বাড়িতেও হামলা চালায় বলেও তারা জানান। রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ীর চরের আবুল হোসেন জানান, ভারতীয় বন্যহাতি তার এক বিঘা জমির পাকা ধান খেয়ে ও পা দিয়ে মুড়িয়ে সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিয়েছে। প্রতিবছর এভাবেই ভারতীয় হাতি তার ধান খেয়ে নষ্ট করে। স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য মো. রুহুল আমিন জানান, আমি এমপি থাকাকালে ভারতীয় বন্যহাতির রৌমারী এলাকায় প্রবেশ বন্ধে দুই দেশের সরকারের কাছে আবেদন করেছিলাম। এখনো এর কোনো প্রতিকার হয়নি। রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন ধানসহ ফসলের ক্ষতির কথা স্বীকার করে বলেন, ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনে কাজ চলছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পাকা ধান কেটে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান জানান, ফসল রক্ষায় স্থানীয়ভাবে হাতি তাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর