কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের দীর্ঘদিন ধরে বেহালদশা। গত কয়েকদিনের বৃষ্টি দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী পরিবহন চালক ও যাত্রীদের। ভোগান্তি বেশি হচ্ছে কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের ছোট পরিবহনের যাত্রী-চালকদের।
জানা যায়, তিন বছর ধরে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে বেহাল হয়ে আছে। ভাঙা সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে সময় নষ্ট আর গাড়ি বিকল হওয়ায় ক্ষুব্ধ পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। কুমিল্লা পদুয়ার বাজারের পর থেকে ভাঙা অংশ শুরু। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বাগমারা বাজার ও লাকসাম বাইপাসের দক্ষিণ অংশে। এছাড়া লালমাই, হরিশ্চর, লাকসাম জংশন, লাকসাম বাইপাস, চন্দনা, কৃষ্ণপুর, খিলা, নাথেরপেটুয়া, বিপুলাসার, সোনাইমুড়ি, বেগমগঞ্জ থানা এলাকাসহ মাইজদীর বিভিন্ন অংশে ভাঙা রয়েছে। মহাসড়কের লাকসামের দৌলতগঞ্জ বাজার দক্ষিণ বাইপাসে বড় বড় গর্তে পানি জমেছে। লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজারের দক্ষিণ অংশে পানি জমে আছে এক সপ্তাহ ধরে। রাস্তা একবারেই খারাপ হওয়ায় সেখানে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কুমিল্লার তথ্যমতে, কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার ফোরলেন উন্নীতকরণের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলাসহ সারা দেশের মানুষ উপকৃত হবে। চলতি জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। তবে কাজের ধীরগতির কারণে তা আরও দুই বছরেও শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন পরিবহন শ্রমিকরা। স্থানীয় ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, দৌলতগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ বাইপাসের অবস্থা খুবই খারাপ। ফলে বাণিজ্যিক কেন্দ্রখ্যাত দৌলতগঞ্জের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা ভোগান্তিতে পড়ছেন। এই বাইপাসের কাজ দ্রুত শেষ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। কুমিল্লা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, সড়ক ভাঙা হওয়ায় ঘন ঘন গাড়ি বিকল হচ্ছে। দ্রুত সড়কটি মেরামত করা না হলে গাড়ি চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাছাড়া করোনা সংকট কেটে গেলে এ রাস্তায় পরিবহন চলাচল বেড়ে যাবে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা প্রয়োজন। সওজ বিভাগের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. আহাদ উল্লাহ বলেন, সড়কের যেখানে প্রয়োজন সেখানে সংস্কার করা হচ্ছে। ফোরলেন প্রকল্পে লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারের বাইপাস ও লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার অংশের ভূমি অধিগ্রহণ করোনা সংকট শেষে শুরু করা যাবে বলে তিনি আশা করেন।