বুধবার, ১০ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

খোলা আকাশের নিচে হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

খোলা আকাশের নিচে হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার

ঠাকুরগাঁওয়ে গুদামে মজুদ করার পরও বাইরে রাখা আছে আরও ছয় হাজার মেট্রিক টন সার -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় এ দুই জেলার কৃষকের ফসল উৎপাদনে ইউরিয়া সার সরবরাহ করে বাংলাদেশ  কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন। কিন্তু তাদের নিজস্ব ভবন না থাকায় ১৯৯৬ সাল থেকে ঠাকুরগাঁও সদরের শিবগঞ্জ বিএডিসির সাড়ে ৭ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার একটি গুদাম নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বর্তমানে চাহিদা বেশি হওয়ায় গুদামের বাইরেও ফেলে রাখা হয়েছে হাজার হাজার  মেট্রিক টন সার।

ফলে সারের বস্তা রোদ বৃষ্টিতে ভিজে জমাট বাঁধছে। নষ্ট হচ্ছে গুণগতমান। আর জমাট বাঁধা সার কর্মচারীর মাধ্যমে আবারও নতুন করে প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। জমাট বাঁধা সার দেওয়া হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। যা জমিতে ব্যবহার করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রান্তিক কৃষকরা। কৃষকরা কিছুতেই জমাট বাঁধা এসব সার কিনতে চাইছেন না। বাকিতে দিতে চাইলেও কৃষকরা এসব সার নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকায় সার জমাট বেঁধে গেছে। সারের বস্তার গায়ে লেখা নিট ওজনের চেয়ে ওজন কমে গেলে বুঝতে হবে, ওই সার থেকে নাইট্রোজেন   বেরিয়ে গেছে। এমন ইউরিয়া সারের গুণগতমান ঠিক নাও থাকতে পারে। বাফার গুদাম উপ-ব্যবস্থাপক মো. গোলাম মোস্তফা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নতুন গুদাম তৈরির জন্য ৬ একর জায়গা নেওয়া হয়েছে। সেখানে ২০ হাজার মেট্রিক টনের গুদাম করা হবে। সমস্যা সমাধানে নিজস্ব ভবন ও গুদামের কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে জানালেন তিনি। উল্লেখ্য, বর্তমানে গুদামে মজুদ করার পরও বাইরে রাখা আছে আরও ৬ হাজার মেট্রিক টন সার। দুই  জেলায় ফসল উৎপাদনে বার্ষিক চাহিদা ৯০ হাজার  মেট্রিক টন ইউরিয়া সার।

সর্বশেষ খবর