বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

গরুর লাম্পি স্কিন রোগে বিপাকে খামারি ও প্রান্তিক কৃষক

দিনাজপুর প্রতিনিধি

গরুর লাম্পি স্কিন রোগে বিপাকে খামারি ও প্রান্তিক কৃষক

দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জে রোগাক্রান্ত গরু -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দিনাজপুরের খানসামা, বোচাগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলায় গবাদিপশু গরুর লাম্পি স্কিন রোগ দেখা  দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারি ও প্রান্তিক কৃষকরা। ভাইরাসজনিত এ রোগের প্রকোপ থেকে গবাদিপশুকে বাঁচাতে গরুকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শাহিনুর আলম। জানা যায়, লাম্পি স্কিন রোগটি গবাদিপশুর নতুন একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যার প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। এ রোগে আক্রান্ত পশুর প্রথমে সামনের পা ফুলে যায়। তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে শরীরে বড় বড় গুটি দেখা দেয়। এক সপ্তাহ পরে গুটিগুলো গলে গিয়ে স্থানে স্থানে ঘা হয়। ঘা থেকে অনবরত তরল পদার্থ নিঃসৃত হতে থাকে। কখনো সিনার নিচে বড় থলির মতো হয়ে পানি জমে থাকে। তখন কিছুই খেতে চায় না বলে গবাদিপশু শুকিয়ে যায়। সংক্রমণ বেশি হলে পশু মারাও যেতে পারে। তবে এতে মৃতুুহার খুবই কম। উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের সঙ্গে মিল নেই আক্রান্তের সংখ্যা।

খানসামা উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও ভেটেরিনারি সার্জন ডা. বিপুল চক্রবর্তী বলেন, অফিসের পাশাপাশি গরুর মালিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আক্রান্ত গরুর অ্যান্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন, ব্যথানাশক ট্যাবলেট ও অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা চালানো হচ্ছে। বোচাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস ছালাম  বলেন, সচেতনতার মাধ্যমে এ ভাইরাস থেকে বাঁচা সম্ভব। কৃষকদের সচেতনতার জন্য আমরা নিয়মিত উঠান বৈঠক করছি। দিনাজপুর জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শাহিনুর আলম জানান, ল্যাম্পি স্কিন রোগটি বিশেষ করে মশার কামড়ে ও আক্রান্ত প্রাণীর লালা হতে ছড়ায়। এখনো কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। এরোগে বিদেশি জাতের গরু এবং বাছুরের বেশি আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে। খামারিদের ভয়ের কারণ নেই। এ রোগে গরুর মৃতুুর হার একেবারেই কম। এ রোগ গরু থেকে গরুতে, অন্য প্রাণীতে সংক্রমণ হয় না। তাই গরুর গোয়াল ঘর পরিষ্কার করা ও মশা মাছি নিয়ন্ত্রণ করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ডাক্তারের পরামর্শ মতো চললেই এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

সর্বশেষ খবর