শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি জমি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের সরকার নির্ধারিত স্থান ছড়িয়ে অন্য জায়গা থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে নদী খনন করে তোলা বালু দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি না করায় সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে নির্ধারিত স্থান ছাড়িয়ে খনন কাজ করায় বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি-ফসলি জমি। নদের পাড়ের কয়েকশ পরিবার ইতোমধ্যে ভাঙনের কারণে হারিয়েছে ভিটামাটি। পাকুন্দিয়ার ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, একনেকে অনুমোদিত পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পাকুন্দিয়া অংশে ১৩ কিলোমিটার খনন করা হচ্ছে। উত্তোলিত বালুর দুই কিলোমিটার অংশের দরপত্র ডাকা হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। রহস্যজনক কারণে আরও পাঁচটি গ্রুপের দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে না। ফলে উত্তোলিত বালু রাতের আঁধারে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে একটি মহল। বাহাদিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, মূল নদ ছাড়িয়ে খনন কাজ করায় সাধারণ মানুষ ঘরবাড়ি, জমি-জমা হারিয়ে নি:স্ব হচ্ছে। ইতোমধ্যে ছয় শতাধিক পরিবার বসতভিটা হারিয়েছে। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও তারা প্রতিকার পাচ্ছেন না। পাকুন্দিয়ার ইউএনও নাহিদ হাসান বলেন, দরপত্র ডাকের মাধ্যমে বাকি পাঁচটি অংশের বালুও বিক্রি করা হবে। বালু লুটের বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। কিন্ত জড়িতদের ধরা যাচ্ছে না। ঘরবাড়ি ও জমিজমা হারানোর বিষয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একনেকে অনুমোদিত খনন কাজটি বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করছে। পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণু জানান, ছয় মাস আগে দুই কিলোমিটার করে পাঁচটি অংশের বালুর দরপত্র আহ্বান করার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে তা করা হচ্ছে না। ফলে কোটি কোটি টাকার বালু লুট হচ্ছে। সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিচার দাবি করেন।

 

সর্বশেষ খবর