রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

বর্ষার আগেই পদ্মায় ভাঙন ঝুঁকিতে ফেরিঘাট

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

বর্ষার আগেই পদ্মায় ভাঙন ঝুঁকিতে ফেরিঘাট

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ভাঙন। গতকাল তোলা ছবি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের কারণে বর্ষার আগেই ভাঙন শুরু হয়েছে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ৬ নম্বার ফেরিঘাটের পাশে ছাত্তার মেম্বারের পাড়া, লঞ্চঘাটের মজিদ শেখের পাড়ায় ভাঙনের মাত্রা বেশি। তবে ভাঙন ঠেকাতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। কয়েক বছর ধরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা থাকলেও স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

জানা যায়, গত বছরের পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে তীব্র স্রোতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তের দুইটি ফেরিঘাট বিলীন হয়ে যায়। লঞ্চ ঘাটের ৫০০ মিটার উজানে ভাঙন সৃষ্টি হয়। গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৫০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই বছরের ভাঙনের ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই পদ্মায় ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে।

দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা মো. কামাল হোসেন বলেন, গত বছর পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে দৌলতদিয়া এলাকার প্রায় ৫০০ পরিবার গৃহহীন হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই এখন পর্যন্ত বাসাবাড়ী নির্মাণ করতে পারেনি। বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দীন পাঠান বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরিঘাট আধুনিকায়ন করার জন্য এক হাজার ৩৫০ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়েছে। তবে কিছু সংশোধনীর জন্য কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। এই বর্ষা মোকাবিলার জন্য দৌলতদিয়া প্রান্তের লঞ্চঘাট থেকে ৬ নম্বর ফেরিঘাট পর্যন্ত ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড লঞ্চ ঘাট থেকে কাজ শুরু না করার কারণে সবগুলো ফেরিঘাট হুমকির মধ্যে রয়েছে।

গতকাল রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, আপাতত বর্ষার আগেই জরুরিভাবে ভাঙন ঠেকাতে অন্তত ১৮ কোটি টাকার একটি বাজেট চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। সেই বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে। দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের উজানে এ বছর ভাঙনের তীব্রতা থাকার কারণে ৫০০ মিটার এলাকায় দুই একদিনের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে।

সর্বশেষ খবর