সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

ভাঙছে নদী-নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ, নীরব পাউবো

আব্দুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ

ভাঙছে নদী-নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ, নীরব পাউবো

সিরাজগঞ্জে যমুনা গিলছে ফসলি জমি, বসতভিটা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বর্ষা মৌসুম শুরু না হলেও যমুনা নদী ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। যমুনা নদী প্রতিদিন গিলছে ফসলী ও বসতভিটা। নিঃস্ব হয়ে পড়ছে মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড সরেজমিন পরিদর্শন করেও নিচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা। ভুক্তভোগীরা বলছেন, বর্ষার আগে ব্যবস্থা না নিলে অসংখ্য স্থাপনা, ঘরবাড়ি, ফসলী জমি, তাঁত কারখানা, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজার বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্ষার আগে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। এ কারণে অরক্ষিত নদীর তীরে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। একমাসের ব্যবধানে কয়েক হাজার বসতভিটা-ফসলী জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গেছে। চৌহালী উপজেলা সদরের জনতা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে খাস পুকুরিয়া হয়ে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চরবিনুনাই-ভুতের মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। দক্ষিণ খাস পুকুরিয়া, মিটুয়ানী, রেহাই পুকুরিয়া ও চরবিনুনাই এলাকার প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি, সাতটি তাঁত কারখানা, তিনটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং প্রায়  দেড় কিলোমিটার পাকা সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে  গেছে। এনায়েতপুর ব্রাহ্মণ গ্রাম থেকে পাঁচিল পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার, বেলকুচি উপজেলার চরাঞ্চলের ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে।  শাহজাদপুরে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্থায়ী বাঁধের অন্তত ১০টি পয়েন্টে ধসে গেছে। চৌহালী উপজেলার খাস পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সরকার জানান, তার ইউনিয়নের খাসপুকুরিয়া ও মেটুয়ানি গ্রামের তীরবর্তী এলাকার অন্তত ২০/২৫টি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাহ্হার সিদ্দিকী জানান, গত এক মাসের ব্যবধানে শতাধিক ঘরবাড়ি বাজারসহ তাঁতকারখানা এবং তিনটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। চৌহালী উপজেলা অংশের দায়িত্ব থাকা টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, স্থায়ী নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন জানান, এনায়েতপুরের ছয় কিলোমিটার ভাঙন রোধে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

 অনুমোদন পেলে স্থায়ী ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া জরুরিভাবে ভাঙনরোধে কিছু জিওব্যাগ ফেলানো হবে বলেও তিনি জানান।

সর্বশেষ খবর