কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহালদশা দীর্ঘদিনের। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মহাদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন উপজেলার পণ্যবাহী গাড়ির চালক ও যাত্রীরা। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে হাজারো যানবাহন চলাচল করছে। ভাঙা এ সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন লাখো মানুষ। কাদা আর গর্ত দেখে অনেক যাত্রী এই সড়ককে ধানখেত বলে মন্তব্য করেন। সরেজমিন কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাকসাম, বাগমারা বাজার, সোনাইমুড়ী চাষীর হাট, নাথেরপেটুয়া, সোনাইমুড়ী চৌরাস্তা ঘুরে দেখা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ এ আঞ্চলিক মহাসড়কের করুণদশা। পিচ ঢালাই সড়কের খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাতের বেলায় এসব গর্তে যাত্রী ও মালবাহী গাড়ির চাকা আটকে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ, সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। দীর্ঘদিন এ সড়কটি সংস্কার না করায় যাতায়াত করতে গিয়ে কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুরসহ অন্য জেলার লাখো মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন নোয়াখালীর সোনাপুর, মাইজদী, চৌমুহনী, সোনাইমুড়ী, চাটখিল; লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ, চর আলেকজান্ডার, রামগতি, রায়পুর; চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও হাজীগঞ্জ থেকে হাজার হাজার মালবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে। কুমিল্লার দৌলতগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আবু ইউসুফ বলেন, দৌলতগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ বাইপাসের বেহাল অবস্থা। রাস্তার দুর্গতির কারণে বাণিজ্যিক কেন্দ্রখ্যাত এ বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ সড়কটির দুরবস্থার কারণে পণ্যবাহী যানবাহন চালকরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করেন। যার প্রভাব পড়ে সাধারণ মানুষের ওপর। সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মো. আহাদ উল্লাহ বলেন, বর্তমানে রাস্তার অবস্থা খারাপ হলেও করোনার কারণে সংস্কার কাজ ঠিকভাবে করা যায়নি। সংস্কারের চেষ্টা করছি।
