মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

মহাসড়কে ফেলে যাওয়া বৃদ্ধা চার মাস হাসপাতালে

কুমিল্লা প্রতিনিধি

মহাসড়কে ফেলে যাওয়া বৃদ্ধা চার মাস হাসপাতালে

হাসপাতালের বেডে সুফিয়া খাতুন

সংসারে অভাবের তাড়নায় বৃদ্ধা মাকে মহাসড়কের পাশে রেখে যান মেয়ে। বৃদ্ধার নাম সুফিয়া খাতুন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ভিটেমাটি কিছুই নেই। বাড়ি দাউদকান্দি উপজেলার নছরুদ্দি গ্রামে। সুফিয়ার স্বামী কালাই মিয়া ২০ বছর আগে মারা গেছেন। জানা যায়, সুফিয়া চোখে দেখেন না। কানেও শোনেন কম। তাকে ১৭ ফেব্রুয়ারি ফেলে যাওয়া হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। খবর পেয়ে ইউএনও কামরুল ইসলাম খান তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এখন তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির প্রায় চার মাস পরও সুফিয়াকে তার পরিবারের কোনো সদস্য নিতে আসছেন না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহীনুর আলম সুমন বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সুফিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ হলেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তার দেখভাল করছেন নার্সরা। করোনাকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ সময় ভর্তি থাকা তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ১৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলা প্রশাসন সুফিয়ার ছেলে মোখলেছুর রহমানের খোঁজ পান। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাকা হয়। এ সময় মোখলেছুর বলেন, তিনি বাসে চানাচুর বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। থাকেন মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে।

এমন পরিস্থিতিতে মাকে নিজের কাছে রাখতে পারেননি। সুফিয়ার মেয়ে মিনা পরিবার নিয়ে থাকেন উপজেলার গঙ্গাপ্রসাদ গ্রামে। তার কাছেই ছিলেন মা সুফিয়া। দারিদ্র্যের কারণে মেয়ে মাকে মহাসড়কের পাশে ফেলে যান।

সর্বশেষ খবর