সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না নওগাঁর কৃষকেরা। সংগ্রহ অভিযান শুরুর দেড় মাসে মাত্র ৩৯৪ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। গুদামে ধান বিক্রির জন্য নির্বাচিত কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও লাভ হচ্ছে না। জানা যায়, ধানের বর্তমান বাজারদর ও গুদামে ধান ক্রয়ের সরকার নির্ধারিত দাম প্রায় সমান। তার ওপর কৃষকদের অতীত অভিজ্ঞতা হলো- সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়। আর্দ্রতার কথা বলে প্রতি মণে এক থেকে দুই কেজি ধান বেশি নেওয়া হয়। অনেক সময় ধান ফেরতও দেয়। স্থানীয় বাজারে এ সব ঝামেলা নেই। বর্তমানে নওগাঁর হাটবাজারে প্রতি মণ কাটারীভোগ ৯৫০-১০০০ টাকা, জিরাশাইল ১০০০ ও বিআর-২৮ ধান ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ হাজার ৩৪০ মেট্রিক টন। প্রতি মণ ১০৪০ টাকা (২৬ টাকা কেজি) দরে ১৪ শতাংশ নিচের আর্দ্রতার ধান কেনার সিদ্ধান্ত হয়। গত ২৬ এপ্রিল জেলায় সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান সংগ্রহ করা হবে। কৃষকরা জানান, গুদামে যে দামে ধান বিক্রি করব, সেই দাম বাজারেই পাচ্ছি। বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে কেন গুদামে ধান দিতে যাব। নিয়ামতপুরের শিবপুর এলএসডি খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, সরকারি যে দাম বেধে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বাজারেও সেই দামে ধান বেচাকেনা হচ্ছে। যে কারণে খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে নির্বাচিত কৃষকেরা আর আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এখন ধান বিক্রির জন্য ফোন করেও নির্বাচিত কৃষকদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী বলেন, কম ধান সংগ্রহের অন্যতম কারণ বর্তমান বাজারদর ও সরকারি দাম প্রায় সমান। তবে ধান সংগ্রহের এখনো অনেক সময় রয়েছে।