বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

২০ কিমি সড়কে সীমাহীন দুর্ভোগ

৩০ মিনিটের রাস্তা যেতে লাগে দেড় ঘণ্টা, প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা

জহুরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

২০ কিমি সড়কে সীমাহীন দুর্ভোগ

খানাখন্দে ভরা কুষ্টিয়ার-ভেড়ামারা জুনিয়াদহ সড়ক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের মানুষের কাছে এখন অভিশাপ ভেড়ামারা-জুনিয়াদহ সড়ক। ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি সংস্কার হয় না পাঁচ বছর ধরে। পুরো রাস্তায় খানাখন্দক। বৃষ্টি হলেই সড়কটিতে হেঁটে চলাও দুষ্কর হয়ে পড়ে। প্রায় ছয় মাস আগে সংস্কারে দরপত্র আহ্বান ও ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলেও কাজই শুরু হয়নি। চলতি বর্ষায় আরও ভোগান্তি বাড়বে মানুষের। জানা যায়, ভেড়ামারা উপজেলার খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ ভেড়ামারা-জুনিয়াদহ সড়ক। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের আওতাধীন এ সড়ক দিয়ে উপজেলার বাহাদুরপুর, মোকারিমপুর ও জুনিয়াদহ ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ মানুষ উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করেন। গত বর্ষা মৌসুমে সড়কটি সংস্কারের দাবিতে স্থানীয়রা রাস্তায় ধান রোপণ করেন। এ বছর বর্ষা শুরুর পর রাস্তার অবস্থা আরও বেহাল হয়ে পড়েছে। যে রাস্তায় যাতায়াতে ৩০ মিনিট সময় লাগার কথা সেখানে লাগছে দেড় ঘণ্টা। বৃষ্টির পানি জমে খানাখন্দ ডোবায় পরিণত হয়েছে। মালবাহী গাড়ি ভাঙা রাস্তার কারণে যততত্র উল্টে পড়ে থাকছে। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ। সিএনজিচালক আল আমীন জানান, ভেড়ামারা-জুনিয়াদহ সড়ক এখন মরণফাঁদ। আগে যেখানে ভেড়ামারা পৌঁছাতে ২০ মিনিট লাগত। এখন ৪০-৫০ মিনিটেও পৌঁছার নিশ্চয়তা নেই। ভাড়াও বেশি নেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। রাতের সড়ক-তো আরও ভয়ঙ্কর। ভেড়ামারা উপজেলা প্রকৌশলী রাকিব হোসেন সড়কটির ভয়াবহ অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে টেন্ডার করে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংস্কার প্রকল্পটি বিদেশি অর্থ সাহায্যপুষ্ট হওয়ায় কিছু জটিলতার কারণে এখনো কার্যাদেশ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, সব জটিলতা কাটিয়ে অচিরেই ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হবে। চলতি বর্ষা মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংস্কার কাজ শুরু হবে না বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর