শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

ডিএনডিতে কোমর পানি শহরে হাঁটু ছুঁই ছুঁই

রোমান চৌধুরী সুমন ও এম এ শাহীন, নারায়ণগঞ্জ

ডিএনডিতে কোমর পানি শহরে হাঁটু ছুঁই ছুঁই

ডিএনডি এলাকায় তলিয়ে যাওয়া একটি সড়ক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে গতকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জে শহর-শহরতলির ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ডিএনডির নিচু এলাকা কোথাও কোথাও কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। মূল শহর চাষাঢ়া এলাকার রাস্তায় পানি হাঁটু ছুঁই ছুঁই। শহরতলির বিভিন্ন বাসা বাড়িতেও ঢুকেছে পানি। ডিএনডির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ভরসা সিদ্ধিরগঞ্জ ডিএনডি সেচপাম্প হাউস। ডিএনডি এলাকায় প্রতি সেকেন্ডে ৩ হাজার ২০০ কিউসেক পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজন। কিন্ত সেচপাম্পের ক্ষমতা আছে মাত্র ৪০০ কিউসেক। সামর্থ্য বাড়াতে পাঁচটি পাম্প নির্মাণ কাজ ঝুলে আছে চার বছর ধরে। এছাড়া জলাবদ্ধতার নেপথ্যে রয়েছে খাল দখল ও পানি নিষ্কাশন রাস্তা বন্ধ করা। সরেজমিনে ফতুল্লার ইসদাইর, গাবতলী, লালপুর সস্তাপুর, জালকুড়ি, পঞ্চবটি, কুতুবপুর, দেলপাড়ায় দেখা যায় উঁচু এলাকায় কোথাও দুই-তিন ফুট আর নিচু এলাকায় কোমর সমান পানি। কোথাও কোথাও বতসঘরে হাঁটুজল। খাটের উপর বসে দিন কাটছে অনেকের। নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কসহ প্রধান প্রধান সড়কে পানি জমে গেছে। অলিগলিতে কোথাও হাঁটু আবার কোথাও দেখা গেছে কোমর পানি। মানুষ পানি মাড়িয়ে চলাচল করছে। ডিএনডি পাম্প হাউসের উপসহকারী প্রকৌশলী রাম প্রসাদ বাছার জানান, প্রায় ৬০ বছর আগের ১২৮ কিউসেক ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি ও অস্থায়ী দুইটি পাম্পসহ ছোট ছোট কিছু পাম্প রয়েছে। বড় চারটির মধ্যে তিনটি সচল। এগুলোর পাওয়ার ৫১২ কিউসেক। কিন্তু মেশিনগুলোর বয়স ৬০ বছর হওয়ায় এখন ৪০০ কিউসেক সাপোর্ট দিতে পারছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী কিছু পাম্প চালু রেখেছে। তিনি জানান, বর্তমানে পানি লেয়ার আছে ৩ দশমিক ৫০। আগামী ১০ দিন বৃষ্টি না হলে পুরো পানি নিষ্কাশন করা যাবে। এক দিন বৃষ্টি হলেই সেই পানি নিষ্কাশন করতে ১০ দিন লেগে যায়।

সর্বশেষ খবর