মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

গরুর লাম্পি স্কিন রোগ আতঙ্কে চাষি-খামারিরা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

গরুর লাম্পি স্কিন রোগ আতঙ্কে চাষি-খামারিরা

দিনাজপুরে ‘লাম্পি স্কিন’ রোগে আক্রান্ত গরু

দিনাজপুরে গরুর ‘লাম্পি স্কিন’ রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন প্রান্তিক চাষিসহ খামারিরা। আসন্ন কোরবানির ঈদের আগে এ রোগে গরু আক্রান্ত হওয়ায় বেশি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। এ রোগে জেলায় বেসরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত মৃত্যু সংখ্যা শতাধিক হলেও সরকারি হিসাবে ১৫-১৬টি গরুর বাছুর মারা গেছে বলে জানানো হয়। এছাড়া দিনাজপুরে ‘লাম্পি স্কিন’ রোগে প্রায় তিন হাজার গবাদিপশু আক্রান্ত হয়েছে। জেলার ১০২টি ইউনিয়নের মধ্যে ২২টিকে আক্রান্ত প্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করে কাজ শুরু করেছে প্রাণিসম্পদ অফিস। প্রায় এক লাখ গরুকে প্রতিষেধক ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এ ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, রোগ প্রতিরোধে জেলায় ১৭ জুন থেকে ২২টি তিন সদস্যের মেডিকেল টিম কাজ শুরু করেছে। টিমের মাধ্যমে বিনামূল্যে টিকা, ওষুধ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিলি করা হচ্ছে সচেতনতামূলক লিফলেট। বর্তমানে জেলায় ১৬ লাখ ৭১ হাজার ২১৪টি গবাদিপশু রয়েছে। ল্যাম্পি স্কিন রোগটি বিশেষ করে মশার কামড়ে ও আক্রান্ত প্রাণির লালা থেকে ছড়ায়। এ রোগে বিদেশি জাতের গরু এবং বাছুর বেশি আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে। মশা-মাছির আক্রমণ থেকে রক্ষা ও পরিচর্যা করলে কিছুটা হলেও এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। খামারি ও চাষিরা জানান, আক্রান্ত গরুর প্রথমে তীব্র মাত্রার জ্বর আসে। এরপর শরীরে গোটা গোটা উঠে ফুলে যায়।

গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পানি নামে। গরু খাওয়া বন্ধ করে দেয়। দিনাজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহিনুর আলম বলেন, জেলায় যে কয়েকটি বাছুর এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে, তা ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে। পল্লী চিকিৎসকরা না বুঝে উচ্চমাত্রার এন্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ করায় বাছুরগুলো বাঁচানো যায়নি। তিনি জানান, এ রোগে ভয়ের কিছু নেই। রোগ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা একেবারে কম।

সর্বশেষ খবর