বুধবার, ২৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

লাল পাহাড়ে বাহারি চাপালিশ

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

লাল পাহাড়ে বাহারি চাপালিশ

কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ের কোটবাড়ি এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে চাপালিশ গাছ। সেই গাছে পেকে ঝুলে আছে হলুদ চাপালিশ। কোটবাড়ি পাহাড়জুড়ে এখন রঙিন চাপালিশের মৌ মৌ গন্ধ। চাপালিশ স্বাদে হালকা টক-মিষ্টি। পুষ্টিগুণে অনন্য। কোটবাড়ি থেকে প্রতিদিন সংগ্রহ করা পাকা চাপালিশ জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে পাশের জেলায়। কোটবাড়ি বিজিবি ক্যাম্প ও তার আশপাশের এলাকায় গাছে গাছে ঝুলছে রঙিন চাপালিশ। স্থানীয়রা সেসব চাপালিশ সংগ্রহ করে বস্তায় ভরছেন। ভ্যান ও পিকআপ ভ্যানে করে নগরীর রাজগঞ্জে নিয়ে আসছেন পাইকাররা।

পাহাড়ে চাপালিশ সংগ্রহ করা স্থানীয় যুবক আরিফুল ইসলাম জানান, এ বছর করোনার কারণে পাহাড়ে মানুষের পদচারণা কম। পাশাপাশি বায়ু দূষণ কম হওয়ায় চাপালিশের ফলন ভালো হয়েছে। খুচরা চাপালিশ প্রতিটি ৪০- ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। দেখতে কাঁঠালের মতো হওয়ায় স্থানীয়রা চাপালিশকে ডেউয়া কাঁঠাল বলে চেনে। চাপালিশ স্বাদে হালকা টক-মিষ্টি। বীজ আগুনে পুড়িয়ে খাওয়া যায়। স্বাদে অনেকটা চীনা বাদামের মত। তবে নির্বিচারে কাটার কারণে চাপালিশ এখন বিপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত। কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুরজিত চন্দ্র দত্ত বলেন, চাপালিশ শুধু পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ নয় এই গাছের কাঠ অনেক টেকসই ও মূল্যবান।

সর্বশেষ খবর