নওগাঁর আত্রাইয়ে ২৬টি পরিবার দুই বছর ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। দুই বছর আগে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে এ সব পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেওয়া হলেও আজও তাদের ঘরে আলো জ্বলেনি। খুঁটি পুঁতে তার টানানো, ট্রান্সফরমার স্থাপন ও ড্রপতার টাঙানো সবই হয়েছে। অপেক্ষা শুধু মিটার আর সংযোগ পাওয়ার।
জানা যায়, আত্রাই উপজেলার জামগ্রামের নতুন করে গড়ে উঠা দুটি পাড়া রয়েছে। একটিতে ১৫ অপরটিতে ১১টি পরিবারের বাস। পুরো গ্রামের মধ্যে শুধু এ দুটি পাড়ায় বিদ্যুৎ দেওয়া হয়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য হানিফ পালোয়ান এ ২৬ পরিবারকে জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে গেলে আপনাদের মিটারপ্রতি চার হাজার টাকা দিতে হবে। সে অনুযায়ী তারা লক্ষাধিক টাকা ইউপি সদস্যকে দেন। টাকা দেওয়ার পর খুঁটি পুঁতে তার টানানো, ট্রান্সফরমার স্থাপন ও ড্রপতার টাঙানো হয়। কিন্তু মিটার দিয়ে সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে না। টাকা নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ায় ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম গত বছরের ২৭ জুন ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। ওই গ্রামের বেদারুল ইসলাম, লেবু শেখ, শহিদুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা দুটি পাড়ার ২৬ পরিবার বিদ্যুতের আশায় চার হাজার টাকা করে দিয়েছি। টাকা দেওয়ার পর আনুষঙ্গিক কাজ করা হলেও এক বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের মিটার দেওয়া হচ্ছে না। আমরা দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছি। ইউপি সদস্য হানিফ পালোয়ান বলেন, তাদের টাকা দিয়ে নওগাঁ থেকে বিদ্যুতের পোল ও অন্য মালামাল পরিবহন করা হয়েছে। এখন মিটারের জন্য আরও ৬০০ টাকা করে লাগবে। এটা না দেওয়ায় এবং করোনা পরিস্থিতির কারণে সংযোগ বিলম্বিত হচ্ছে। নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আত্রাই জোনাল অফিসের এজিএম ফিরোজ জামান জানান, পোল ও অন্যান্য মাল পরিবহনের খরচ বহন করবেন ঠিকাদার। গ্রাহকের টাকা দিয়ে মালামাল বহন করতে হয় না। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য মিটারবাবদ ৪৫০ টাকা অফিসকে দিতে হয়। তিনি বলেন, ‘জামগ্রামে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে এটি আমাকে কেউ জানায়নি। ভুক্তভোগীরা যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
