শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

নমুনা টেস্টে জট বাড়ছেই রিপোর্টের আগেই মৃত্যু

‘অসচ্ছল করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে না’

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

করোনা ভাইরাসের নমুনা টেস্টে চার জেলার একমাত্র দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে জটের সৃষ্টি হয়েছে। নমুনা টেস্টের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ১১-১৫ দিন পর্যন্ত। এর মধ্যে নমুনা দেওয়া ব্যক্তির মৃত্যুও ঘটছে। গত বুধবার এক ইমাম, বৃহস্পতিবার এক বৃদ্ধাসহ জেলায় মৃতের বেশিরভাগই মারা যাওয়ার পরই জানা গেছে করোনা পজিটিভ। আর টেস্টের ফলাফল না আসা পর্যন্ত নমুনা দেওয়া ব্যক্তিদের কোয়ারিন্টিনে থাকতে বলা হলেও তারা সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। গত দুই মাসে এ জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৫৫৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ জন। দিনাজপুর সদরে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৪ জন।

সদরের বেশি আক্রান্ত স্থানগুলো হচ্ছে চেহেলগাজী, রাজারামপুর, খৃস্টানপাড়া, রথীনাথপুর ও খানপুর। শহরের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত স্থানগুলো হচ্ছে রামনগর, ষষ্টীতলা, হাউজিং মোড় ও ৭ নং উপশহর। সদরে মাত্র একটি টিম করোনার নমুনা সংগ্রহ করছে। অসচ্ছল করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতালে এখনো সেন্ট্রাল ভেন্টিলেশন চালু হয়নি। এদিকে, প্রতিদিন দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ১৮৮টি টেস্ট সম্ভব হলেও নমুনা আসছে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০০-৪০০ জনের। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ হাজার ৫৫২টি করোনা পরীক্ষার নমুনা জমা রয়েছে। 

জানা গেছে, চিরিরবন্দর উপজেলায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ও করোনা আক্রান্ত সন্দেহভাজন ৯০ জনের নমুনা সর্বশেষ ১০ জুন পর্যন্ত দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলেও গত ১৫ দিনেও এসব পরীক্ষার ফলাফল হাতে পায়নি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ অবস্থা সব উপজেলাতেই। করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঘটায় করোনায় নমুনা টেস্ট করার জন্য আরেকটি ল্যাবের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। ৪টি জেলার করোনা নমুনা সংগ্রহ অধিক হলেও সবগুলোর টেস্ট প্রতিদিন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই হাজি মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আরেকটি ল্যাব স্থাপনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে বলে জানান দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল কুদ্দুছ।

সর্বশেষ খবর