বুধবার, ১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

দুই নদীর ভাঙনে দিশাহারা মানুষ

ফরিদপুর প্রতিনিধি

দুই নদীর ভাঙনে দিশাহারা মানুষ

ফরিদপুরের সদরপুরে ভাঙনকবলিত এলাকা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরিদপুরের সদরপুরে শুরু হয়ে হয়েছে ভাঙন। অব্যাহত ভাঙনে দিশাহারা উপজেলার চরমানাইর, চরনাসিরপুর, ঢেউখালী ও দিয়ারা নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের নদীপাড়ের হাজারো মানুষ। দুই নদ-নদীতে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, গাছপালা, ফসলি জমি আর সরকারি-বেসরকারি নানা স্থাপনা। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন গ্রাম। ছোট হয়ে আসছে ইউনিয়নের পরিধি। ভেঙে পড়ছে এসব এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা। অনেকে ভয়ে আগেই সরিয়ে নিচ্ছেন বসতবাড়ি। ভাঙনের শিকার কেউ কেউ বাস করছেন খোলা আকাশের নিচে। জানা যায়, কয়েক বছর ধরেই বর্ষা মৌসুমে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। স্থানীয়দের দাবির মুখে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কিছু কাজ করলেও তা বিফলে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি বছর ভাঙন শুরু হলে পাউবোর তরফ থেকে বালুর বস্তা আর কিছু সিমেন্টের ব্লক ফেলা হয়। তাতে কোনো কাজই হয় না। এ বছর পাউবোর তরফে নদী ভাঙন রোধে কাজ শুরু হলেও মান নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। ফরিদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, ভাঙনের হাত থেকে স্থানীয়দের রক্ষায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সদরপুর উপজেলায় ২৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ ও ৬ দশমিক ৩ কিলোমিটার ড্রেজিং কাজের অনুমোদন পাওয়া যায়। ফরিদপুর পাউবো ওই প্রকল্পের তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিংয়ের জন্য পদ্মায় ১২ ও আড়িয়াল খাঁয় ১৭ গ্রুপকে কার্যাদেশ দেয়। ইতোমধ্যে কাজের ৭৫ শতাংশ শেষ করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নীলফামারীতে ভাঙনের মুখে শত শত পরিবার : নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ধাইজান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে রাস্তা-ঘাটসহ আবাদি জমি। হুমকির মধ্যে রয়েছে মসজিদ-মাদ্রাসাসহ ঘরবাড়ি। আতঙ্কে আছে শত শত পরিবার। অবিলম্বে বাঁধ নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। নদী খননের গতিপথ পরিবর্তন করায় এই ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানালেন কিশোরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম। কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল কালাম আজাদ বলেন, নদী ভাঙনের ফলে কয়েকটি গ্রাম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

সর্বশেষ খবর