বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

গরিবের তালিকায় ব্যবসায়ী-প্রবাসী

৩৩৭ জনের নাম বাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গরিবের তালিকায় নাম ওঠা ৩৩৭ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জেলা খাদ্য বিভাগ ও পৌরসভা যাচাই-বাছাই করে তাদের বাদ দেয়। এর আগে তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগে দুই কাউন্সিলর ও এক ডিলার বরখাস্ত হন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গোকর্নঘাট এলাকার তালিকায় অনেক ধর্ণাঢ্যর নাম পায় খাদ্য বিভাগ। এদের মধ্যে একজন নাজির মিয়া। তার দুই ছেলে থাকে বিদেশে। বাজারে মার্কেট আছে এরফানুল বারীর। আছে দোতলা বাড়ি। তার নামও আছে এ তালিকায়। আবদুল হেকিমও মার্কেটের মালিক। মার্কেট আছে রোকসানা বেগমেরও। তিনি আবার কাউন্সিলর প্রার্থী। ধন মিয়ার চার ছেলে বিদেশে। আছে পাকা বাড়ি। হোসেন মিয়ার আছে দোতলা বাড়ি। বাজারে দোকান আছে তার। দুটি মাইক্রোবাসের মালিক শফিক মিয়া। কবির মৃধা বড় ব্যবসায়ী। বিত্তশালী এই মানুষদের সবার নাম রয়েছে করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের দেওয়া বিশেষ ওএমএস সুবিধা ভোগীর তালিকায়। প্রকৃত হতদরিদ্রদের বাদ দিয়ে তালিকায় নাম দেওয়া হয় তাদের। ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফেরদৌস মিয়ার নেতৃত্বে কমিটি এই তালিকাটি করে। গণমাধ্যমে অন্য আরেকটি ওয়ার্ডের অনিয়মের চিত্র প্রকাশ হলে জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগ তদন্তে নামে। শুরু হয় পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের তালিকা যাচাই-বাছাই। প্রথম দফায় প্রত্যক ওয়ার্ডে করা ৫০০ জনের নামের তালিকার খোঁজখবরে সন্ধান মিলে এই ধনবানদের। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তালিকার মতো একই অবস্থা অন্য ওয়ার্ডগুলোরও। জেলা খাদ্য অফিস জানায়, দৈবচয়ন ভিত্তিতে ভোক্তা তালিকা যাচাই করে ১৩১ জন সামর্থ্যবান খুঁজে পান তারা। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসক ও ওএমএস কমিটির সভাপতি হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন লিখিতভাবে পৌর মেয়রকে তালিকা যাচাই-বাছাই করতে বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলররা সামর্থ্যবানদের নাম বাদ দিয়ে সংশোধিত তালিকা পাঠায় খাদ্য অফিসে। এ তালিকায়  সবমিলিয়ে ৩৩৭ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে প্রথম দফায় করা ৬ হাজার জনের তালিকা থেকে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবির নাথ চৌধুরী জানান, তালিকা যাচাই-বাছাই করে পৌরসভা থেকে তাদের কাছে সংশোধিত তালিকা দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর