শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

চুয়াডাঙ্গায় ভেস্তে যেতে বসেছে লক্ষ্যমাত্রা

সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয়

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ভেস্তে যেতে বসেছে। সংগ্রহ শুরুর প্রথম দুই মাসে মাত্র ৮১ মেট্রিকটন ধান কিনতে পেরেছে স্থানীয় খাদ্য বিভাগ। যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র এক দশমিক ৫২ ভাগ। এ সময় চাল কেনা হয়েছে এক হাজার ২৭১ মেট্রিকটন। যা লক্ষ্যমাত্রার ১৬ দশমিক ৭১ ভাগ। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে খোলাবাজারে দাম বেশি থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।

চুয়াডাঙ্গা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় গত ২৫ এপ্রিল ধান ও ৭ মে থেকে চাল কেনা শুরু হয়েছে। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চালু থাকবে এ কার্যক্রম। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত ৫ হাজার ৩১০ জন কৃষকের কাছ থেকে ৫ হাজার ৩১০ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ধান কেনা শুরুর দুই মাস পেরিয়ে গেলেও আশানুরূপ সাড়া মেলেনি কৃষকদের কাছ থেকে। একইভাবে জেলায় ১৯৭ জন মিলারের কাছ থেকে ৭ হাজার ৬০৫ মেট্রিক টন চাল কেনার কথা থাকলেও প্রায় দুই মাসে কেনা হয়েছে মাত্র এক হাজার ২৭১ মেট্রিক টন। পঞ্চগড় খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে আরও জানায়, সরকারিভাবে ধানের দাম কেজিপ্রতি ২৬ টাকা ও চালের দাম কেজিপ্রতি ৩৬ টাকা। সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক শরীফ উদ্দীন জানান, সরকারি অফিসে ধান বিক্রি করতে গেলে অনেক অসুবিধা। বলা হয়, ধান ভেজা। ধান দিলেও টাকা পেতে দেরি হয়। সবচেয়ে বড় কথা, সরকারের দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে বাজারে ধান ও চাল বিক্রি করা যাচ্ছে। টাকাও পাওয়া যাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে। চুয়াডাঙ্গা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ শেখ বলেন, বাজারে এখন ধানের দাম এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০ টাকা মণ। ওই ধান থেকে চাল তৈরি করলে আমাদের কেনা দামই দাঁড়াবে ৪১-৪২ টাকা কেজি। তাহলে ৩৬ টাকা কেজিতে খাদ্যগুদামে চাল দিতে গেলে মিল মালিকদের মোটা অঙ্কের লোকসান হবে। আমরা বলেছি, সরকারি ক্রয়মূল্য বাড়ানো দরকার। চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছেই ভালো দাম পাচ্ছে কৃষক। এ জন্য আমাদের কাছে কৃষক ও মিল মালিকরা আসছেন না। এখনো সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে আমরা ধান ও চাল ক্রয় লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চেষ্টা করব।

সর্বশেষ খবর