রাস্তার পাশে বিদ্যুৎবিহীন ছোট্ট এক জোড়াতালি বাড়িতে স্বামী-সন্তানদের নিয়ে রাতে আতঙ্কে থাকেন হালিমা। একদিকে করোনা আরেক দিকে বর্ষার এই সময়ে কষ্টে জীবনযাপন করছেন হালিমা ও তার পরিবার। দিনাজপুরের হাকিমপুরের বোয়ালদাড় ইউপির খাট্টাউছনা বাজার থেকে পূর্ব দিকে রাস্তার পাশে নিজের শেষ সম্বল তিন শতক জায়গায় বাঁশ-খড়ি দিয়ে বেড়া এবং তাতে কাদামাটি লাগিয়ে তৈরি দুটি ঘরের একটি বাড়ি হালিমার। গ্রামের ভাষায় এমন ঘরগুলোকে বলা হয় ‘ছিটার ঘর’। বর্ষাকালের পানি ও সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে একটি ঘর একবারেই ভেঙে পড়েছে আর একটি ঘরের পূর্ব দেওয়াল ভেঙে গেছে, যেখানে ছিড়া কাপড়, টিন আর বাঁশের খড়ি দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে থাকে সেই পরিবারটি। একই ঘরে থাকে হালিমা, তার স্বামী, বড় মেয়ে ও ছেলে। আবার ডিজিটাল যুগে এবং শতভাগ বিদ্যুতের এই উপজেলায় সেই ঘরে নেই বিদ্যুৎ। কান্নাজড়িত কণ্ঠে হালিমা জানান, ভাই রাতে ছেলেমেয়েকে নিয়ে আতঙ্কে থাকি। কখন যে ঝড় আসে, আর কখন যে বৃষ্টি হয়। সব মিলে রাত কাটে আতঙ্কে। দেখার কেউ নেই, খুব কষ্টে আছি। মেম্বার ও চেয়ারম্যানের কাছে গেলেও কিছুই দেয় না। তাই সরকারের কাছে আমার অনুরোধ, আমাকে থাকার একটা ব্যবস্থা করে দিলে অনেক উপকার হতো। তিনি আরও জানায়, তিনি এবং তার স্বামী রবিউল ইসলামও দিনমজুরের কাজ করেন কিন্তু এখন কাজও কম। তাই সংসার চালানোর পাশাপাশি এই জোড়াতালি ঘর নিয়ে কষ্টে আছেন। স্থানীয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন থেকে দেখে আসছি হালিমা বেগম অনেক কষ্ট করে চলে।