শনিবার, ৪ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

হিজলায় তীব্র হচ্ছে মেঘনার ভাঙন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

হিজলায় তীব্র হচ্ছে মেঘনার ভাঙন

হিজলার দক্ষিণ-পশ্চিম বাউশিয়া গ্রাম দিন দিন বিলীন হচ্ছে মেঘনার গর্ভে -বাংলাদেশ প্রতিদিন

উত্তরাঞ্চলের বন্যার প্রভাবে বরিশালের মেঘনাসহ বিভিন্ন নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক দিনে তীব্র হয়েছে হিজলায় মেঘনার ভাঙন। দিশাহারা হয়ে পড়েছে নদী তীরবর্তী মানুষ। জানা যায়, গত বছর মেঘনার মূল মোহনা পুরাতন হিজলা লঞ্চঘাট থেকে বাউশিয়া হয়ে দড়িরচর-খাজুরিয়া পর্যন্ত নদী ভাঙন শুরু হয়। এক বছরে বাউশিয়া গ্রামের অনেকটাই মেঘনায় বিলীন হয়ে গেছে। পুরাতন হিজলা লঞ্চঘাটের টার্মিনাল এখন গাছে বাঁধা। কোস্টগার্ডের পাঁচ একর জমির বেশিরভাগ গেছে নদীর পেটে। প্রস্তাবিত হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ সংযোগ ফেরিঘাট কোরবানের রাস্তার মাথার স্থাপনাও নদীতে ভেসে গেছে। এ বছর গত কয়েক দিন ধরে মেঘনার পানি বৃদ্ধির কারণে হিজলার টেকের সালাউদ্দিন খানের বাড়িসহ ১২টি বাড়ি বিলীন হয়েছে। উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন টেকের বাজার, বড়জালিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বাউশিয়া, দক্ষিণ পশ্চিম বাউশিয়া, মধ্য বাউশিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি সেতু, একটি হাফেজি মাদ্রাসাসহ কয়েকটি বসতবাড়ি রয়েছে ভাঙনের হুমকিতে। মধ্য বাউশিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানা জানান, আগে থেকেই তাদের স্কুল ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এবার কি হবে আল্লাহ মাবুদ জানেন। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। হিজলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আ. গাফফার জানান, তিনি সরেজমিনে ওই স্কুল পরিদর্শন করেছেন। যে কোনো সময় স্কুলটিভবটি নদীতে বিলীন হতে পারে। বড়জালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম জানান, নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে হিজলার বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন তীব্র হয়েছে। সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) হিজলার কোথায় কি ধরনের ভাঙন হচ্ছে, কি পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তার রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আগামী সপ্তাহে জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়া হবে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল কুমার সেন বলেন, হিজলা উপজেলাকে নদী ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার জন্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আপদকালীন সময়ের জন্য দুই কোটি ৮৪ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন পেলেই ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর