রবিবার, ৫ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

সিরাজগঞ্জে বানভাসিদের পাশে কেউ নেই

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জে বানভাসিদের পাশে কেউ নেই

পাঁচ থেকে সাত দিন ধরে পানিবন্দী থাকলেও কেউ সহায়তার হাত বাড়ায়নি সিরাজগঞ্জে বানভাসিদের জন্য। একদিকে করোনায় কর্মহীন অন্যদিকে বন্যা দুই দুর্যোগে অনাহারে-অর্ধাহারে জীবন কাটছে বানভাসিদের। আগাম বন্যার কারণে বেঁচে থাকার সম্বল তিল, কাউন, ধান, পাট, সজ ও সবজি হারিয়ে কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে, অব্যাহত নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে এক সময়ের সম্পদশালী পরিবারগুলো। তারা মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের জন্য ছুটছে দ্বারে দ্বারে। এমন পরিস্থিতিতে কেউ তাদের সাহায্যে এগিয়ে না আসায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। জানা যায়, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। চার শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে সাড়ে তিন হাজার হেক্টর ফসলি জমি ও ১৬ কিলোমিটার রাস্তা। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এনায়েতপুর, শাহজাদপুর ও চৌহালীর বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয়েছে ভাঙন। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, নিচু এলাকা প্লাবিত হবে এটা স্বাভাবিক-এই অজুহাতে ত্রাণ তৎপরতা শুরু করা হয়নি। বন্যাকবলিতরা বলছে, মানুষ ইচ্ছা করে নিচু এলাকায় বসবাস করে না। পরিস্থিতির শিকার হয়ে নিচু এলাকায় বসবাস করে। নিচু এলাকার মানুষ বন্যায় তলিয়ে গেলেও সরকারের টনক নড়ে না। কাওয়াকোলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান টিএম শাহাদত হোসেন ঠান্ডু জানান, চরাঞ্চল এমনিতেই নিচু। পানি বাড়লেই ফসল তলিয়ে যায়। কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। চরাঞ্চলের মানুষকে প্রতিনিয়ত বন্যা ও খরার সঙ্গে যুদ্ধ করে বাঁচতে হয়। এ জন্য প্রতি বছর বন্যার সময় চরাঞ্চলের মানুষের জন্য সরকারের বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন। সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড.ফারুক আহমেদ জানান, এখনও বন্যার তেমন প্রভাব পড়েনি। তারপরও প্রতিটি উপজেলায় চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তালিকা প্রস্তুত করে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর