রবিবার, ৫ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

হতাশ মেহেরপুরের বই ব্যবসায়ীরা

মেহেরপুর প্রতিনিধি

করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ভালো নেই মেহেরপুরের বই ব্যবসায়ীরা। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় গাইড বইয়ের চাহিদাও কম। যে কারণে অবসর সময় কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মেহেরপুরের বিভিন্ন বইয়ের দোকান ঘুরে হাতেগোনা কিছু সৃজনশীল বই ছাড়া তেমন একটা চোখে পড়েনি। দোকানের র‌্যাকগুলো সাজানো খাতা, কাগজ ও কলম দিয়ে। ব্যবসায়ীদের চোখে হতাশার ছাপ। জানা যায়, মেহেরপুরে ছোটবড় ৮৫টি লাইব্রেরি আছে। এর মধ্যে সদরে ৩০, গংনী উপজেলায় ৪০ ও মুজিবনগর রয়েছে ১৫টি। জেলার সবচেয়ে বড় বইয়ের দোকান পপি লাইব্রেরি। এর মালকি সৈয়দ মেহেদী ইমাম পাপ্পু বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিক্রি কম। কোনোমতে দিন চলে যাচ্ছে। শুধু ব্যবসা ধরে রাখতে দোকান চালু রাখতে হয়েছে। দোয়েল বুক হাউজের মালিক আব্দুল আজিজ বলেন, এক সময় জমজমাট ছিল বইয়ের দোকানগুলো। সকাল ৯টায় দোকানে এসে বাসায় ফিরতাম রাত ১০টায়। এখন ১০টা থেকে ৪টা দোকান খোলা রাখছি। তাও বেশিরভাগ সময়ই বসে থাকতে হচ্ছে। টিকে থাকাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। স্টুডেন্ট লাইব্রেরির সাইদুর রহমান রিপন জানান, বাড়িতে সময় কাটছে না। তাই দোকান খুলে বসে আছি। বেচা-বিক্রি একদম নেই। দু-একজন আসছে বিভিন্ন পোস্টার কাগজ কিনতে। এতে দিন হাজিরা তো দূরের কথা বিদ্যুৎ বিলের টাকাও উঠছে না। মেহেরপুর পাঠ্যপুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দীন জানান, আমাদের ব্যবসা মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্র করে। করোনার প্রাদুর্ভাবে প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে লাইব্রেরি ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। ছোটখাটো বইয়ের দোকান ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।  লাইব্রেরিতে কাজ করা কর্মচারিরাও পড়েছেন বিপাকে। অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর