সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

টেঁটাযুদ্ধের ঘটনায় পুরুষশূন্য গ্রাম

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার মেঘনা পুরাতন ভাটেরা গ্রামে লকডাউনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের দুই দফা হামলা ও টেঁটাযুদ্ধে ২০ আহত হয়েছেন। আবারও হামলার আশঙ্কায় পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে গ্রামটি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবি করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল গ্রামটি পরিদর্শন করেন মেঘনা উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেঘনা থানার ওসি। পুলিশ সার্বক্ষণিক ভাটেরা গ্রামে না থাকলে প্রতিদিনই একবার করে টহল দিচ্ছে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে।

জানা যায়, গত ১৯ মে স্থানীয় সুরুজ মিয়ার ছেলে ইমরান বিদেশে থেকে ফেরা শাহাজাহানের দুই ছেলেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার প্রসঙ্গে কথা বলেন। এ সময় শাহাজাহান গং হামলা চালায়। এতে আহত হন চারজন। এ হামলার রেষ না কাটতেই গত ২৭ জুন সুরুজ ও শাহাজাহান গ্রুপের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধ হয়। এ ঘটনায় আহত হন উভয় গ্রুপের ১৬ জন। এদের মধ্যে চারজন এখনও ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন। দুই দফা হামলার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। মামলায় গ্রেফতার এবং আবারও হামলার আশঙ্কায় গ্রামের পুরুষ সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। গতকাল ওই গ্রামে গিয়ে নারী ও শিশু-কিশোর ছাড়া কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। জানা যায়, পুরুষ সদস্যরা বাড়িতে না থাকায় কয়েকটি পরিবারের ছেলে-মেয়ে অনাহার-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। মেঘনা থানার ওসি আব্দুল মজিদ জানান, ওই এলাকায় ফের হামলা সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ভাটেরার আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে উপজেলা প্রশাসন গতকাল সভা করেছে। ঘটনা প্রসঙ্গে সুরুজ বলেন, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে শাহাজাহান গং আমাদের ও আমাদের পরিবারের ওপর দফায় দফায় হামলা করে। আমরা তাদের ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছি না। অভিযুক্ত শাহাজাহান বলেন, হামলা হয়েছে সত্য। দুই পক্ষই মামলা করেছে। আমরা এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই চেষ্টা করছি।

সর্বশেষ খবর