সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

কর্মীদের উপস্থিতি কাগজেকলমে সেবাবঞ্চিত সাধারণ মানুষ

রংপুরের কমিউনিটি ক্লিনিক

নজরুল মৃধা, রংপুর

কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রেগুলোতে ঠিকমত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না মানুষ। করোনার ভয়ে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র অকার্যকর হতে বসেছে। করোনা সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে রোগী যেমন কম আসছে তেমনি অধিকাংশ হেলথ প্রোভাইডার ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মীর উপস্থিতি রয়েছে শুধু কাগজেকলমে। ফলে করোনার এই দুর্যোগে এ অঞ্চলেন গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে হোচট খাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক ঢেলে সাজায়। অপরদিকে প্রতিটি ইউনিয়নে গর্ভবতী মা ও শিশুদের সেবার জন্য রয়েছে ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র।  প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এ সব প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কথা। কমিউনিটি ক্লিনিকে সপ্তাহে দুই দিন একজন উপ-সহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা, ছয়দিন একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) এবং তিন দিন একজন স্বাস্থ্য সহকারী (এইচএ) ও একজন পরিবার কল্যাণ সহকারী উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু করোনাকালে অধিকাংশ স্বাস্থ্য কর্মিই উপস্থিত থাকছেন কাগজেকলমে।

রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছাসহ বেশকটি উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা আতঙ্কের কারণে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলতে রোগী তেমন আসছেন না। কখনো রোগী এলেও সংশ্লিষ্টদের দেখা পান না। অপরদিকে একাধিক গর্ভবতী অভিযোগ করেন, তারা পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা পাচ্ছেন না।  সংশ্লিষ্টরা তাদের দেখছেন না। অনেক ক্ষেত্রে দূর থেকে দেখে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হচ্ছে। এতে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবায় বিঘ্ন ঘটছে। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারের সপ্তাহে ছয় দিন ক্লিনিকে বসার কথা থাকলেও অনেকেই অফিসে আসছেন না। আবার কেউ এসে খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যাচ্ছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার স্বাস্থ্য বিভাগের সব কর্মির ছুটি বাতিল করেছে। কিন্তু নিয়মিত মনিটরিং না থাকায় গ্রামীণ এই স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এ বিষয়ে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আমিন আহমেদ খান বলেন, ‘করোনার কারণে স্বাস্থ্যসেবা কিছুটা বিঘ্নিত হতে পারে। তিনি নিজে নিয়মিত মনিটরিং করছেন। কোথাও কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর