সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

শালিসে ধর্ষকের সঙ্গে ছাত্রীর বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের কুমরাখালি গ্রামে ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুমরাখালি গ্রামের অষ্টম শ্রেণির এক কিশোরীকে গত ২ জুন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার ফসলী গ্রামের সোহাগ মুন্সি নামে এক যুবক অপহরণ করে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ৮ জুন মাদারীপুর সদর থানায় ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে মামলা হয়। প্রধান আসামি করা হয় সোহাগ মুন্সিকে। ২০ জুন মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, সদস্য সবুর, শহিদসহ স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য দুই পক্ষকে ডাকে। শালিসে চেয়ারম্যান ধর্ষণ ও অপহরণে অভিযুক্ত সোহাগের সঙ্গে কিশোরীর বিয়ের রায় দেন। শালিস বৈঠকে অর্ধশত লোক উপস্থিত ছিলেন। কিশোরীর বাবা বলেন, ‘যে আমার মেয়ের সর্বনাশ করল, সেই সোহাগের হাতেই আমার মেয়েকে তুলে দেওয় হলো। আমি গরিব মানুষ। চেয়ারম্যানের পায়ে ধরেছি। তবুও শোনেনি। আমি মেয়েকে ফেরত চাই।’ শালিস মীমাংসার ব্যাপারে ইউপি সদস্য সবুর বলেন, জোর করে নয়, দুই পক্ষের সম্মতিতেই শালিস হয়েছে। মেয়ের বাবাকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিলো ছেলে পক্ষের। সেই টাকা না দেওয়ায় হয়তো সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছে। ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমার বলেন, ‘দুই পক্ষ আমার কাছে এসেছিল। আমি বলেছি তোমরা মিলমিশ হয়ে যাও। ধর্ষণ ও অপহরণ শালিসযোগ্য নয়। তাই মামলা চলবে।’

সর্বশেষ খবর