মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ন্যানো ফিল্টেশনে কাটবে সুপেয় পানির সংকট

বাগেরহাট প্রতিনিধি

ন্যানো ফিল্টেশনে কাটবে সুপেয় পানির সংকট

উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে লড়াই করা মানুষের সুপেয় ও নিরাপদ পানির সংকট সমাধানে পাঁচ উপজেলায় বসানো হচ্ছে ন্যানো ফিল্টেশন ইউনিট। যার মাধ্যমে ভূ-উপরিস্থ পানি শতভাগ জীবাণুমুক্ত করে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে সাধারণ মানুষের মধ্যে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ভূ-উপরিস্থ পানি পরিশোধনের মাধ্যমে রাঙামাটি, বাগেরহাট ও ফরিদপুর জেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় বাগেরহাটে ৭৫টি ন্যানো ফিল্টেশন ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে। বাগেরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর জানায়, বাগেরহাটে ৭৫টি ন্যানো ফিল্টেশন ইউনিটের মধ্যে কচুয়া উপজেলায় ৯, মোরেলগঞ্জে ২৫, শরণখোলায় ১৮, মোংলায় ১৪ ও চিতলমারীতে ৯টি ইউনিট স্থাপনের কাজ চলছে। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে সব ইউনিটের কাজ শেষ হবে। আধুনিক প্রযুক্তির একটি ইউনিট স্থাপনে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। পুকুর বা ভূ-উপরিস্থ যেকোনো উৎস থেকে বৈদ্যুতিক মোটরের মাধ্যমে পানি সংগ্রহ করা হবে। ওই পানি কোনো রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে চারটি ধাপে পরিশোধনের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরবরাহ ট্যাংকিতে যাবে। ওই ট্যাংকিতে পানি সরবরাহের জন্য দুটি ট্যাব থাকবে। এ ট্যাব থেকে মিনিটে ১৬ লিটার হিসেবে ঘণ্টায় ৯৬০ লিটার বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যাবে। যা ওই এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষের সুপেয় পানির চাহিদা পূরণ করবে। শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান মিলন জানান, জেলার সব থেকে বেশি লবণাক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা শরণখোলা। এই উপজেলার অধিকাংশ মানুষ সুপেয় পানির সংকটে ভোগে। জনসংখ্যার হিসাবে এই উপজেলার জন্য ১৪টি ইউনিট যথেষ্ট নয়। এদিকে জেলার ৯টি উপজেলার পাঁচটিতে সুপেয় পানির জন্য এ প্রকল্প থাকায় বাগেরহাট সদর, রামপাল, ফকিরহাট ও মোল্লাহাট উপজেলার সাধারণ মানুষ তাদের এলাকায়ও এই প্রকল্প সম্প্রসারণের দাবি জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর