বুধবার, ৮ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

নিয়োগের ৮ বছর দেখলেন বেতন শিটে নাম নেই!

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরের ঝিনাইগাতি মহিলা আদর্শ মহাবিদ্যালয়। ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর এ কলেজে ডিগ্রি শাখায় ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান পি আর মহম্মদ রাহুল। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত পাঠদান করে আসছেন। সম্প্রতি সরকার ওই কলেজের ডিগ্রি শাখাকে এমপিওভুক্তির আওতায় আনে। গত মে মাসে কলেজে ডিগ্রি শাখার বেতন আসে। ওই বেতন শিটে দেখা যায় রাহুলের নামের জায়গায় আরেক জনের নাম। রাহুল দেখতে পান তিনি আর কলেজের শিক্ষক নন। একজনের নামের জায়গায় অন্যজনের নাম এসেছে আরও কয়েকজনের। অভিযোগ উঠেছে কলেজের অধ্যক্ষ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাতারাতি নাম পরিবর্তন করে বেতন করিয়ে এনেছেন। নতুন যেসব শিক্ষকের নাম শিটে রয়েছে তাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ২০১২ সালের গভর্নিং বডি, জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় কেউ চিনেন না। বৃহস্পতিবার শেরপুর জেলা প্রশাসক ঝিনাইগাতির ইউএনওকে বিষয়টির দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে স্থানীয় এমপি একেএম ফজলুল হক ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দাতা সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। ডিগ্রি নিয়োগকালীন কলেজের সাবেক সভাপতি একেএম বেলায়েত বলেন- একজন শিক্ষক এমন জালিয়াতি করতে পারেন তা বিশ্বাস হয় না। অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান বলেন, ‘সব নিয়ম মেনেই ডিগ্রি পর্যায়ের এমপিও তালিকা পাঠানো হয়েছে।’ কলেজ পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম জানান, নানা অভিযোগে অধ্যক্ষের কাছে কাগজপত্র চেয়েও পাইনি। কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সবাই ওই অধ্যক্ষের আত্মীয়। এভাবে চললে তিনিই সভাপতির পদ থেকে সরে যাবেন। জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সর্বশেষ খবর